বারাসত: ভোটের আগে ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে একটি ঘরকে কেন্দ্র করে অশান্তির অভিযোগ উঠেছিল। মমতাবালা ঠাকুর ও শান্তনু ঠাকুরের মধ্য়ে এই অশান্তি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। এরইমধ্যে ‘প্রাপ্য অধিকার’-এর দাবিতে অনশনে বসেন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুর। মমতাবালার দাবি, ১২ দিন ধরে অনশনে বসেছিলেন তাঁর মেয়ে। এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাড়াবাড়ি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।
মমতাবালার দাবি, পৈত্রিক সম্পত্তিতে নিজের অধিকার পেতে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে আমরণ অনশনে বসেন মেয়ে মধুপর্ণা। শনিবার ছিল তাঁর অনশনের দ্বাদশতম দিন।
মমতাবালা বলেন, “ও আমরণ অনশনে বসেছে নিজের অধিকারের জন্য। ঘর থেকে ওকে বের করে দিয়েছে। ১০-১২ দিন হয়ে গেল। খাওয়া দাওয়া নেই, জ্বর, বমি। তাই ঠাকুরনগর হাসপাতালে নিয়ে এলাম। স্যালাইন চলছে। ওষুধ ইনজেকশনে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। চিকিৎসকরা বলছেন, চিকিৎসা শুরু হয়েছে। দেখা যাক কী হয়।”
গত ৭ এপ্রিল মতুয়া ধর্মের মহামেলা চলাকালীন বড়মা প্রয়াত বীণাপানি ঠাকুরের ঘরের দখল ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, বড়মার ঘরে তালা দিয়ে দিয়েছেন শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীরা। তারপর থেকে সেই ঘর তালা বন্ধ। এদিকে সেই ঘরেই থাকতেন মমতাবালা। ফলে তিনিও সেই ঘরে ঢুকতে পারছেন না।
মমতাবালা ঠাকুর জানান, “আমরা হাইকোর্টে গিয়েছিলাম। হাইকোর্ট থেকে নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেয়। আমাদের ২৯ তারিখ ডেট দিয়েছে। এর আগে ডেট দিলেও শান্তনু ঠাকুররা যাননি। আর ইনজানশন জারি আছে আপাতত। তবে চাবি ওদের কাছে। ওখানেই আমার সব কিছু। পুলিশ থাকলেও ভোটের জন্য উঠিয়ে নিয়েছে। তবে কোর্টের অর্ডার না হওয়া পর্যন্ত ওরাও কেউ ঢুকতে পারবে না।”