Fake Voter Card: বাবার ও এপিক নম্বর এক, কেবল ছবি-ঠিকানা পাল্টেই নতুন ভোটার কার্ড! রাজারহাটে ভুয়ো ভোটারের হদিশ

Fake Voter Card: গাইঘাটা থানার সুটিয়া পঞ্চায়েতের তেঘরিয়ার বাসিন্দা পরিমল দাস। ২০০৩ সালে ১৯ বছর বয়সে ভোটার হন। তারপর থেকে তিনি ভোট দিচ্ছেন সব নির্বাচনে। পরিমলের অভিযোগ, ২০১৯ সালে লোকসভার নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁর ভোট কাটা গিয়েছে।

Fake Voter Card: বাবার ও এপিক নম্বর এক, কেবল ছবি-ঠিকানা পাল্টেই নতুন ভোটার কার্ড! রাজারহাটে ভুয়ো ভোটারের হদিশ
ভুয়ো ভোটারের হদিশ Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 11, 2025 | 5:53 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: বাবার ও এপিক নম্বর এক রেখে শুধুমাত্র ছবি ও ঠিকানা পরিবর্তন করে ভুয়ো ভোটার কার্ড বানানোর অভিযোগ উঠল রাজারহাট-নিউটাউনের এক যুবকের বিরুদ্ধে। ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ গিয়েছে গাইঘাটার পরিমল দাসের।

জানা গিয়েছে, গাইঘাটা থানার সুটিয়া পঞ্চায়েতের তেঘরিয়ার বাসিন্দা পরিমল দাস। ২০০৩ সালে ১৯ বছর বয়সে ভোটার হন। তারপর থেকে তিনি ভোট দিচ্ছেন সব নির্বাচনে। পরিমলের অভিযোগ, ২০১৯ সালে লোকসভার নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁর ভোট কাটা গিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁর এপিক নম্বরে রাজারহাট নিউটাউনে ভোট পড়ছে। যেখানে পরিমলের নাম, বাবার নাম, এপিক নম্বর এক। শুধুমাত্র ছবি ও ঠিকানা পরিবর্তন হয়েছে। পরিমলের অভিযোগ, এর পিছনে বড় কোনও চক্র কাজ করছে। বিভিন্ন নেতাদের জানিয়েও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ।

নিজের ভোটাধিকার ফিরে পেতে গাইঘাটার বিডিও-র কাছেও যান তিনি। পরিমল বলেন, “প্রথমে তো বুঝতে পারিনি, ভোটটা কেটে গেল কেন, পরে নেটে সার্চ করে দেখি, অন্য এক ব্যক্তি ডুপ্লিকেট করেছে।” আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি নেতা সুব্রত ঠাকুর বলেন, “তৃণমূলের আমলে সব কিছু সম্ভব। SIR হলে ভুয়ো ভোটারের সংখ্যা দেখলে বোঝা যাবে, বাংলায় কী হয়েছে।”

বনগাঁর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি নরোত্তম বিশ্বাস বলেন, “যদি সত্যিই এই ধরনের অভিযোগ ওঠে, কেন্দ্রীয় সমস্ত এজেন্সি হয়তো ঘুমোচ্ছে। এমন কাজ কেউ করে থাকলে একশো বার অন্যায়। আইন আইনের পথে চলবে।”