বনগাঁ: আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছে অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে। তড়িঘড়ি বাইকে করে হাসপাতালে নিয়ে ছুটেছিল বাবা। কিন্তু, কে জানত পথেই তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে বড় বিপদ। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে গেল মেয়ে, কিন্তু শরীরে গুরুতর চোট নিয়ে। সঙ্গে মা-ও। আর বাবার আর বাড়ি ফেরা হল না। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচনো গেল না ৩৬ বছরের ওই ব্যক্তিকে। মৃত বলে ঘোষণা করে দিলেন চিকিৎসকেরা। মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানা এলাকার বনগাঁ ত্রিকোণ পার্ক এলাকায়।
পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন দেলবার তরফদারের চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে। বাড়ি বনগাঁ থানার সভাইপুরে। রাতে সেখানেই ছিলেন। কিন্তু, অবস্থা হাতের বাইরে যাচ্ছে দেখে রাতেই মেয়ে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন দেলবার ও তাঁর স্ত্রী। গন্তব্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল।
এদিকে রাস্তাতেই মেয়ের জল তেষ্টা পাওয়ায় ত্রিকোন পার্ক এলাকায় বাইক থামান দেলবার। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাইক দাঁড় করানোর কিছু সময়ের মধ্যেই আচমকা উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাইক তাঁদের সজোরে ধাক্কা মারে। তিনজনেই চোখের নিমেষে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁদের উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। দেলবারকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন চিকিৎসকেরা। এখন গুরুতর আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি তাঁর স্ত্রী-মেয়ে। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।