বারাকপুর: ভরদুপুরে বারাকপুর কমিশনারেটের (Barackpore) সামনে চলল গুলি। ভোটের মুখে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল (TMC)-বনাম বিজেপি (BJP) সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বারাকপুর। বুধবার পুলিশের সামনেই দুপুর আড়াইটা নাগাদ বারাকপুরের প্রশাসনিক ভবনের সামনে দুই পক্ষের হাতাহাতি শুরু হয় এবং ক্রমাগত স্পর্শকাতর হয়ে উঠতে শুরু করে পরিস্থিতি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকাজুড়ে। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাফ নামাতে হয়। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশও।
রাজ্যে ভোট চলাকালীন এই ঘটনার জেরে গুরুতর প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কীভাবে বারাকপুরের পুলিশের নাকের ডগায় গুলি চলতে পারে? আগ্নেয়াস্ত্রও বা উদ্ধার হয় কীভাবে? নিরাপত্তার ব্যবস্থা আদৌ কতটুকু রয়েছে? সেটাও ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। বর্তমানে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে এলেও এই ঘটনার জেরে থমথমে পরিবেশ বিরাজমান বারাকপুর জুড়ে। এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও খবর। যদিও পুলিশ সূত্রে এই খবরের সত্যতায় সিলমোহর দেওয়া হয়নি।ইতিমধ্যেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।
এই ঘটনা সম্পর্কে বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “ওখানে আইনশৃঙ্খলা বলে আদতে কিছু নেই। পুলিশ ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে আছে। এখানেই যদি এরকম হয় তাহলে বাকি জায়গায় কী হবে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। আধাসেনাকে ব্যবহার করা হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে শুধু বুথে বসিয়ে রাখলে কিছুই হবে না।”
আরও পড়ুন: ব্রেকিং: ভোট আবহেই দেশের সব অ-বিজেপি নেতৃত্বকে চিঠি মমতার
অন্যদিকে বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল করে আসছিলাম। কিন্তু প্রশাসনিক ভবনে ঢোকার সময় পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। আমার নিজের পায়ে আঘাত লাগে। তারপরই গোলাগুলি চলে। এর থেকে খারাপ কিছু হতে পারে না। বিজেপি বুঝে গিয়েছে ওদের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই ওরা সংঘর্ষ শুরু করে। এটা একেবারেই কাম্য ছিল না।”
আরও পড়ুন: ঘিরে ধরছেন মহিলারা! শুভেন্দুর নিরাপত্তায় এবার মহিলা সিআরপিএফ জওয়ান