Barahanagar Murder: মালিকের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে গয়না লুঠ, তারপরই হাত-পা বেঁধে মার, বরাহনগর-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

কমিশনার বলেন,"খুব খারাপ ঘটনা ঘটেছে। আজ এখানে দুষ্কৃতী আসে। ক্রেতা সেজে ভিতরে ঢোকেন। মালিক যখন বিভিন্ন জিনিস দেখাতে শুরু করেন সেই সময় দুষ্কৃতীরা হামলা করে। তারপর ওকে বেঁধে ফেলে। আর তারপর মারধর শুরু করে। ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।"

Barahanagar Murder: মালিকের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে গয়না লুঠ, তারপরই হাত-পা বেঁধে মার, বরাহনগর-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
সিপিImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 04, 2025 | 9:27 PM

বরাহনগর: এবারও সেই একই পদ্ধতি। প্রথমে ক্রেতা সেজে ভিতরে প্রবেশ। তারপর মালিককে মার। দোকানের জিনিস লুঠ। আর তারপর মালিককে মেরে ফেলে চম্পট। বরাহনগরে সোনার দোকানের ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় আবারও এমনই তথ্য সামনে এল পুলিশের তরফ। এর আগে রাজ্যে ঠিক যে যে জায়গায় সোনার দোকানে এমন লুঠের ঘটনা ঘটেছে প্রতিবার দেখা গিয়েছে ক্রেতা সেজে দুষ্কতীরা প্রথমে প্রবেশ করে, তারপরই আসল রূপ দেখাতে শুরু করে তারা। বরাহনগরের ক্ষেত্রেও অন্যথা হল না তার। তবে এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে,বরাহনগর থানার এক কিলোমিটার দূরত্বে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল?

শনিবার খুনের ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার মুরলীধর শর্মা জানান, আজ মোট পাঁচজন দুষ্কৃতী এসেছিল। এদের মধ্যে প্রথমে দু’জন ক্রেতা সেজে দোকানের ভিতরে প্রবেশ করেন। তারপর তাঁরা সোনার গহনা দেখাতে বলেন। দোকানের মালিক শঙ্কর জানা যখন গহনা দেখাতে শুরু করেন, খানিকক্ষণের মধ্যেই বাইরে থাকা আরও দু’জন দোকানের ভিতর ঢুকে পড়ে। তারপর মালিকের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে বেধড়ক মারতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা।

এরপর লোহার বস্তু দিয়ে মাথায় বারি মারা হয় তার। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন শঙ্কর। পরবর্তীতে তাঁকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে রেখে চম্পট দেয়। এরপর দোকানে লাগানো CCTV ফুটেজ দেখতে পান তাঁর ছেলে। সঙ্গে সঙ্গে বরাহনগর থানায় খবর দেওয়া হয়। এরপরই পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

কমিশনার বলেন,”খুব খারাপ ঘটনা ঘটেছে। আজ এখানে দুষ্কৃতী আসে। ক্রেতা সেজে ভিতরে ঢোকেন। মালিক যখন বিভিন্ন জিনিস দেখাতে শুরু করেন সেই সময় দুষ্কৃতীরা হামলা করে। তারপর ওকে বেঁধে ফেলে। আর তারপর মারধর শুরু করে। ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।”

আজ দুপুর তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বরাহনগরের টবিন রোডের সোনাপট্টি এলাকায়। সেখানেই দোকানের ভিতর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দোকানের মালিক শঙ্কর জানার দেহ। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে কমিশনার জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের ধরা হবে।