
ব্যারাকপুর: নিজেই বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব ভাল উদ্যোগ। তারপরও ব্যারাকপুর পৌরসভা এলাকায় গ্যাসের পাইপ লাইন বসানোর কাজ আচমকা বন্ধের নির্দেশ দিলেন পৌরপ্রধান উত্তম দাস। তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ নিয়ে যুক্তি দিলেন পৌরপ্রধান। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় গ্যাসের পাইপ লাইন ফেলে রাখার কথা বললেন। পৌরসভার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বলছেন ব্যারাকপুরবাসী?
গ্যাসের পাইপ লাইন বসানোর কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বললেন পৌরপ্রধান?
বাড়ি বাড়ি যাতে গ্যাসের কানেকশন পৌঁছে দেওয়া যায়, তার জন্য ব্যারাকপুর পৌরসভা এলাকায় গ্যাসের পাইপ লাইন বসানোর কাজ শুরু হয় কয়েকমাস আগে। পৌরপ্রধান উত্তম দাস বলেন, “এটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব ভাল উদ্যোগ। বেঙ্গল গ্যাসের সঙ্গে রাজ্যের সহযোগিতায় সাত-আট আগে কাজ শুরু হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় পাইপ বসানোর কাজ হয়েছে। বাড়িতে কানেকশনও পৌঁছে গিয়েছে।” এরপরই তিনি বলেন, “মোটা পাইপগুলি রাস্তার ধারে ফেলে রেখে দিয়েছে। এটা উদ্বেগের। সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। পুজো থেকে পাইপগুলি রাস্তার ধার থেকে সরাতে বলা হচ্ছে। তারপরও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। যেকোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”
ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান উত্তম দাস
এই নিয়ে পৌরপ্রধান বেঙ্গল গ্যাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তারপরও পাইপগুলি না সরানোয় কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু, কতদিন কাজ বন্ধ থাকবে? পৌরপ্রধান বললেন, “ওরা রাস্তার ধার থেকে পাইপগুলি সরাবে বলেছে। এক সপ্তাহ সময় চেয়েছে। রাস্তার ধার থেকে পাইপ সরালে আবার কাজ শুরু হবে।”
পৌরপ্রধানের সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বলছেন সাধারণ মানুষ?
দীর্ঘদিন ধরে পাইপ পড়ে থাকায় তাঁদের যে অসুবিধা হচ্ছে, সেকথা বলছেন রাস্তার ধারে বাড়িগুলির বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, এতে চলাফেরার অসুবিধা হচ্ছে। দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। তবে এভাবে কাজ বন্ধ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন অনেকে। গ্যাসের পাইপ লাইন বসানোর কাজ শেষ হলে তাঁরা উপকৃত হবেন জানিয়ে গোবিন্দ ঘোষ নামে একজন বলেন, “এই সিদ্ধান্ত চোরের উপর রাগ করে কলাপাতায় ভাত খাওয়ার মতো। এটা ভাল প্রকল্প। বাড়িতে বাড়িতে গ্যাস পৌঁছে যাবে। প্রকল্পটা বন্ধ রাখা উচিত হয়নি।” কেউ কেউ বলছেন, পৌরসভাই পে লোডার দিয়ে পাইপগুলি সরিয়ে দিতে পারত। কিন্তু, কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত ঠিক নয়।
এই নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা দিব্যেন্দু দাস বলেন, “উন্নয়নের কাজ বন্ধ রাখা উচিত নয়। ব্যারাকপুরে অনেক জায়গা রয়েছে। তেমন মনে হলে, রাতের বেলা মানুষ যখন রাস্তায় কম থাকে, তখন অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে পাইপগুলি রাখা যেতে পারত।”