
বরাহনগর: পাশেই রয়েছে বরাহনগর থানা। ঠিক তার থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত একটি সোনার দোকান থেকে উদ্ধার হল ব্যবসায়ীর হাত পা-বাঁধা দেহ। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য বাড়ছে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে বরাহনগর টবিন রোড এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ সোনার দোকানের ভিতর মালিককে পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। সেই দৃশ্য দেখে কার্যত স্তম্ভিত হয়ে পড়েন তাঁরা।দ্রুত খবর দেওয়া হয় বরাহনগর থানার পুলিশের কাছে। আধিকারিকরা এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
মৃত সোনার দোকানের মালিকের নাম শঙ্কর জানা (৬০)। কারা, কী কারণে তাঁকে খুন করেছে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, মৃতদেহের গলায় এবং মাথায় ধারল অস্ত্রের দাগ আছে। অনুমান করা হচ্ছে খুনের। পুলিশের দাবি, যে সময় ওই ব্যক্তি দোকানে একা ছিলেন, সেই সময়ই দুষ্কৃতীরা খুন করে থাকতে পারে তাঁকে। শঙ্করবাবুর ছেলে সিসিটিভি বন্ধ দেখে সন্দেহ করেন। তারপরই এলাকারই একজনকে দোকানে পাঠান আর তখনই পুরো ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রথমে গ্রাহক সেজে তারা দোকানের ভিতরে ঢোকে। বাইরে সেই সময় পাহারা দিচ্ছিল আরও দু’জন। শঙ্করবাবু লুঠে বাধা দিতে গেলে তখনই খুন করা হয়ে থাকতে পারে তাঁকে। তবে কতজন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, পাওনা নিয়ে আদৌ কোনও সমস্যা হয়েছিল কি না সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোকানে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন ফরেন্সিক দল। স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর শুনি মারা গিয়েছেন। আর আমাদের এখানে নিরাপত্তা নেই। এখানে প্রচুর সোনার দোকান রয়েছে। অথচ কোনও নিরাপত্তা নেই। মাঝে মধ্যে পুলিশ আসে। কিন্তু সেই ভাবে টহল কোথায়?” তিনি আরও জানান, শঙ্করবাবু প্রতিদিনই বিকেলে আসেন। আজ হয়ত আগে এসেছিলেন। তখনই এমন ঘটনা। তিনি বলেন, “আমার চেনা পরিচিত একজন এসে বলল দোকানের ভিতর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিল। দেওয়ালে রক্ত লেগে আছে। এই যদি পরিস্থিতি হয় কী বলব বলুন তো। আমাদের তো খুব ভয় লাগছে।” বস্তুত, আজই NCRB রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে সব থেকে সুরক্ষিত শহর কলকাতা। ঠিক সেই দিনেই থানা থেকে মোটে ১ কিলোমিটার দূরে থাকা সোনার দোকানে এমন খুনের ঘটনা, নিতান্তই আইন-শৃঙ্খলাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।