উত্তর ২৪ পরগনা: সীমান্ত এলাকায় ইতঃস্তত ঘোরাফেরা করছিলেন যুবক। কিন্তু দুঁদে কর্তারা তাঁর গতিবিধি দেখেই বুঝতে পেরে গিয়েছিলেন। তাঁকে বেশ কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কথায় অসঙ্গতি থাকায় তল্লাশি চালানো হয়। লুঙ্গির ভাঁজ থেকেই উদ্ধার হয় ১২টি সোনার বিস্কুট। বাজারে আনুমানিক মূল্য ৮৭ লক্ষ টাকা। বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বিথারি-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ তারালি সীমানার ঘটনা। ধৃতের নাম লতিপ সর্দার। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ভোররাতে লতিপ সরদার নামক ওই যুবক ভারতীয় সীমান্তে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন। সেই সময় ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে তল্লাশি চালাতেই, তাঁর কাছ থেকে ১২টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, যার ওজন ১ কিলো ৪০০ গ্রাম। যার বাজার মূল্য ৮৭ লক্ষ ৯০০০ টাকা।
লতিফ সর্দারকে পাকড়াও করেছে বিএসএফ। ধৃতের বাড়ি বিথারী-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোল্লাপাড়া এলাকায়। এই সোনার বিস্কুট গুলি থাইল্যান্ড, মায়ানমার ও বাংলাদেশ হয়ে বিএসএফের নজর এড়িয়ে ভারতে ঢুকেছে। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের যোগাযোগ রয়েছে বলেই বিএসএফ ও পুলিশ মনে করছে। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটগুলি তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ধৃত পাচারকারীকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে।