SIR: সেন্টারে ১১ টা টেবিল, ১০ জন AERO, ১ জন ERO আর ভোটারের সংখ্যা…হিয়ারিং হেকটিক হতে চলেছেন, পরিসংখ্যান দিলেন মন্ত্রী
SIR In WB Hearing: সর্বদলীয় বৈঠকে উঠে এসেছে, কোন স্কুল নেওয়ার কথা সেক্ষেত্রে পড়াশোনা শিঁকেয় উঠবে। এত মানুষ এক জায়গায় সমস্যা হতে পারে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেন্টারে ১১টি করে টেবিল হবে। সেক্ষেত্রে এক একটা টেবিলে প্রতিদিন ১০০র বেশি মানুষের কথা শুনতে হবে।

উত্তর ২৪ পরগনা: প্রতি বিধানসভায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষ আন ম্যাপড্। শুনানি কোথায় হবে, এই বিপুল সংখ্যক লোকের হিয়ারিংয়ের পরিকাঠামো কি আদতেও নির্বাচন কমিশন তৈরি করতে পেরেছে, এই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিডিও অফিস এসডিও অফিসে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এসে লাইনে দাঁড়ানোর মতন উপযুক্ত জায়গা নেই। ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কর্মদিবসগুলোকে ভাগ করলে প্রতিদিন হাজারের বেশি মানুষ একটা নির্দিষ্ট জায়গায় ডাকতে হবে। তেমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
সর্বদলীয় বৈঠকে উঠে এসেছে, কোন স্কুল নেওয়ার কথা সেক্ষেত্রে পড়াশোনা শিঁকেয় উঠবে। এত মানুষ এক জায়গায় সমস্যা হতে পারে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেন্টারে ১১টি করে টেবিল হবে। সেক্ষেত্রে এক একটা টেবিলে প্রতিদিন ১০০র বেশি মানুষের কথা শুনতে হবে। আদতেও কি এই স্বল্প সময়ে এই কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব। এ প্রশ্ন তুলছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী থেকে বিরোধী দলগুলো।
এ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, “কতজন মানুষকে ডাকা হবে, সেটাই এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। হিয়ারিং কোথায় হবে, সেটাও স্পষ্ট নয়। অনেকগুলো জিনিস নিয়েই বিতর্ক রয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এবার আবেদন করতে বলা হয়েছে। আমি তো জানতেই পারছি না, আমার নামটা থাকবে কি থাকবে না, তাহলে কীসের ভিত্তিতে আবেদন করব। কীসের বিরুদ্ধেই বা অবজেকশন করব। আমরা বিষয়টা নিয়ে পরিস্কার জানার চেষ্টা করছি।” তিনি আরও বলেন, “১০০ লোককে ডাকা, আবার তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা রাখা। বড় জায়গা হতে হবে। ১০ জন AERO, ১ জন ERO থাকবে, এটাও কীভাবে সম্ভব, বোঝা যাচ্ছে না।”
