Shweta Khan Case: পানিহাটির নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার অবনতি, ভর্তি ICCU-তে

Shweta Khan Case: হাওড়ার বাঁকড়ার ফ্ল্যাটে আটকে রেখে পানিহাটির এই যুবতীর উপর অকথ্য অত্যাচার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। অত্যাচার চালিয়েছিলেন পর্নোগ্রাফিকাণ্ডে অভিযুক্ত শ্বেতা খান ও তাঁর ছেলে আরিয়ান খান। নির্যাতিতার বয়ানে যা উঠে এসেছে, তা শিউরে ওঠার মতো। নির্যাতনের সময়ে চুল কেটে নেওয়া হয়েছিল ওই যুবতীর।

Shweta Khan Case: পানিহাটির নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার অবনতি, ভর্তি ICCU-তে
ফাইল ফোটো

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jun 11, 2025 | 10:08 AM

পানিহাটি: পানিহাটির নির্যাতিত যুবতীর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হল। সাগর দত্ত হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে প্রথমে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে ICCU-তে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাঁর মাথার আঘাত গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। পেটেও সমস্যা ধরা পড়েছে।

নির্যাতিতার এক প্রতিবেশী বলেন, “তরুণী এতদিন সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ছিল। আজকে তাঁকে ICCU-তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যে আঘাতগুলো রয়েছে, তার জন্য আর একটু অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্ট লাগবে। তরুণী খুব একটা ভাল নেই। পেটের ভিতরেও অনেক সমস্যা রয়েছে। আগামিকাল আরও বিস্তারিত জানতে পারব।” তিনি আরও বলেন, “ওর দাঁতগুলোও ভেঙে দিয়েছে। এখন কথা বলার অবস্থায় নেই। আমরা চাই, তরুণী ন্যায়বিচার পাক।”

হাওড়ার বাঁকড়ার ফ্ল্যাটে আটকে রেখে পানিহাটির এই যুবতীর উপর অকথ্য অত্যাচার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। অত্যাচার চালিয়েছিলেন পর্নোগ্রাফিকাণ্ডে অভিযুক্ত শ্বেতা খান ও তাঁর ছেলে আরিয়ান খান। নির্যাতিতার বয়ানে যা উঠে এসেছে, তা শিউরে ওঠার মতো। নির্যাতনের সময়ে চুল কেটে নেওয়া হয়েছিল ওই যুবতীর।

জানা গিয়েছে, কুলু মানালিতেও নির্যাতিতাকে নিয়ে গিয়েছিলেন শ্বেতা। জানা গিয়েছে, শ্বেতার নাকি দু’বছরের এক সন্তান রয়েছে। পানিহাটির তরুণী যখন পর্নোগ্রাফি শ্যুট করতে রাজি হননি, তখন তাঁর ওপর অত্যাচার চলেছে। তাঁকে দিয়েই ২ বছরের সন্তানের দেখভাল করাতেন শ্বেতা। কুলুতেও সেই কারণেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অভিযোগ, সেখানে গিয়েই নির্যাতিতার মাথা ফাটিয়ে দেন শ্বেতা।

এই সব অত্যাচারের পর মানসিকভাবে বিধ্বস্ত যুবতী। তাঁর প্রতিবেশী বললেন, “ভয়েতে রয়েছে ও। মানসিকভাবে আর সম্পূর্ণ সুস্থ হবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে শারীরিকভাবে দ্রুত সুস্থ হয়ে যাক, এটাই আমরা চেষ্টা করছি। ও যখন পালিয়ে এসেছিল, তখন ওর মুখ দেখে চেনা যাচ্ছিল না।”