বসিরহাট: ভালবেসেই যুবতীকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তারপরও লাগাতার অশান্তি। আর সেই অশান্তির কারণ হল পরকীয়া। যুবকের স্ত্রী জানতে পেরেছিলেন স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। তারপর থেকেই শুরু সংসারে ঝামেলা। আর সেই গণ্ডগোল থেকে মুক্তি পেতে স্বামী বেছে নিলেন চরম পথ। স্ত্রী-কে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। গ্রেফতার অভিযুক্ত।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের (Basirhat) হাড়োয়া থানার বকজুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের খাড়ুবালা গ্রামের। পরিবার সূত্রে খবর, ২০২০ সালে খাড়ুবালা গ্রামের বাসিন্দা বছর ২৪-এর শরিফুল মোল্লা। তাঁর সঙ্গে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন মেটোআইট গ্রামের বাসিন্দা ২১ বছরের মরিয়ম খাতুন। মৃতের পরিবারের দাবি, বিয়ের পর ওই গৃহবধূ জানতে পারে স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্কের প্রতিবাদ করতেই মাঝে মধ্যে তাদের সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত বলে খবর।
এই নিয়ে বেশ কয়েকবার গ্রাম্য ভাবে সালিশিও হয়েছে। কিন্তু তারপরেও কোনও রকমের সমাধান হয়নি। অভিযোগ, চলতি মাসের ২৮ মে রাতে মরিয়মকে বেধড়ক মারধর করে স্বামী। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে পড়ে ওই গৃহবধূ। তারপর তাঁকে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে আসেন হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে চিকিৎসকরা কলকাতা আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।
মরিয়ম তখন মোটামুটি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। তারপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাঁকে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যে মৃত দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির চারজনের বিরুদ্ধে পিটিয়ে মারার অভিযোগ দায়ের করেছেন হাড়োয়া থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতের মাম বলেন, “বিয়ের পর থেকে অশান্তি। আমার ভাগ্নির বরের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। ও প্রতিবাদ করে। সেই কারণে খুন হতে হল ওকে।”