AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Deganga: ‘টিনের বাড়িতে প্রধান থাকেন এখন…’, ১১ প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে

West Bengal: বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই গ্রামের তৃণমূল কর্মীরা হাতে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে পঞ্চায়েতের প্রধানের বাড়ির সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।

Deganga: 'টিনের বাড়িতে প্রধান থাকেন এখন...', ১১ প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে
বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা (নিজস্ব ছবি)
| Edited By: | Updated on: Jun 22, 2022 | 10:39 AM
Share

উত্তর ২৪ পরগনা: ফের সরকারি টাকা তছরূপের অভিযোগ। মোট এগারোটি প্রকল্প থেকে লক্ষ-লক্ষ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই গ্রামের তৃণমূল কর্মীরা হাতে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে পঞ্চায়েতের প্রধানের বাড়ির সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।

উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার ঘটনা। মঙ্গলবার রাত্রিবেলা ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মৌমিতা দাস কাহারের বাড়ির সামনে। অভিযোগ, একশো দিনের কাজের টাকা পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামীর নামে উঠছে। শুধু তাই নয়, শ্মশান সংস্কারের টাকা পঞ্চায়েত প্রধান আত্মসাত করেছেন পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘর দেওয়ার নাম করে বেনিফিশিয়ারিদের থেকে কাটমানি নিয়েছেন। এমন ভাবেই মোট ১১ টি প্রকল্প থেকে লক্ষ-লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন তিনি। সেই দুর্নীতির তালিকা নিয়ে প্রধানের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা।

অভিযোগকারীদের দাবি, এক সময় পঞ্চায়েত প্রধান মৌমিতা কাহার টিনের ছাউনি দেওয়া মাটির বাড়িতে বসবাস করতেন। জনগণের টাকা আত্মসাত করে তিনিই এখন লক্ষ-লক্ষ টাকার সম্পত্তি কিনে বাড়ি বানিয়েছেন। সেই কারণে মৌমিতা দেবীকে অবিলম্বে টাকা ফেরত দিতে হবে। এক অভিযোগকারী বলেন, ‘আমাদের পাঁচটার সময় প্রধান বলেছিল এই বিষয়ে বসা হবে। কিন্তু কোথায়-কোথায় টাকা কোন খাতে খরচ হয়েছে সেই বিষয়ে আমাদের কিছুই জানায়নি প্রধান। উল্টো-পাল্টা কথা বুঝিয়ে দিয়ে চলে গেল।’

এ দিকে, উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দেগঙ্গা থানার পুলিশ। তাঁরা পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি ঘিরে রাখেন। তবে এই সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন পঞ্চায়েত প্রধান মৌমিতা দাস কাহার। তিনি বলেন, ‘মিথ্যে অভিযোগ। কনট্রাক্টর নিজে টাকা মেরেছে। জব কার্ড দিয়ে টাকা তুলতে হয়। কনট্রাক্টর সেই টাকা তুলেছে।’ পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী দেবু কাহার বলেন, ‘পঞ্চায়েতে কর্মরত কন্ট্রাকটর তাঁর নামে এইভাবে টাকা উঠিয়েছে। যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে চক্রান্ত তাঁকে কালিমালিপ্ত করতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’