
ব্যারাকপুর: সায়নী ঘোষ থেকে কুণাল ঘোষ, অরূপ বিশ্বাস, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, যাদবপুর কাণ্ডে ছেড়ে কথা বললেনি কেউই। এবার আসরে তৃণমূল বিধায়ক তথা বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। “আমাদের কর্মীদের উগ্র হতে ২ মিনিট সময় লাগবে।” এদিন এ ভাষাতেই হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল ব্যারাকপুরের বিধায়ককে।
এদিন রাজ বলেন, “আমাদের অনেক কর্মী আছে। তাঁরাও উগ্র হতে পারে। ২ মিনিট সময় লাগে। কিন্তু, তাঁরা জানে আমাদের পার্টি সেটাকে সমর্থন করে না। আমাদের পার্টি কখনওই বলবে না যাও বিরোধীদের গিয়ে মেরে আসো।” এরপরই সিপিএমের বিরুদ্ধে আরও একধাপ সুর চড়িয়ে বলেন, “আজকে যাদবপুরে যেটা ঘটেছে সেটা সিপিএমের সময় হলে আর অন্য দল যদি করতো তাহলে তারা রাজ্যে থাকতে পারতো না। হয়তো খালের ভিতরে থাকতে হতো।”
প্রসঙ্গত, যাদবপুুরকাণ্ডের পরপরই রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের একঝাঁক বিধায়ক-সাংসদদের। যাদবপুর এলাকা থেকেই ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছিল অরূপ বিশ্বাসকে। ঝাঁঝাল সুরে বলেছিলেন, “আমরা মনে করি যে ছাত্ররা অধ্যাপকের গায়ে হাত দেয়। তাঁরা কখনও ছাত্র হতে পারে না। ওরা গুন্ডা। যদি মনে হয় ১ মিনিট সময় লাগবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দখল করতে।” সুর চড়িয়েছিলেন যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষও। বামেদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেছিলেন, “শান্ত যাদবপুরকে অশান্ত করার চেষ্টা করবেন না। শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করবেন না। ছাব্বিশে পুনরায় খেলা হবে।” হুঙ্কার দিয়েছিলেন যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদারও। রীতিমতো হুঙ্কারের সুরে বলেছিলেন, “লক্ষণরেখা অতিক্রম করবেন না। নাহলে কিন্তু ভাল হবে না।” এবার সেই তালিকায় নবতম সংযোজন রাজ।