Kamarhati: ‘চোখ ভারী হয়ে যাচ্ছে, আর তারপরই…’, কামারহাটিতে জল খেলেই শরীরে বিশেষ প্রতিক্রিয়া, প্রশাসন জারি করল বিশেষ সতর্কতা

Kamarhati: প্রথমদিকে ওই এলাকায় এক-দু'জনের শরীর খারাপ হতে শুরু করে। বমি-পায়খানা হতে থাকে। এরপর ওই এলাকার একাধিক পরিবারের একাধিক সদস্যের মধ্য়েই এই উপসর্গ দেখা যায়। চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, জল থেকেই এই উপসর্গ ছড়াতে পারে।

Kamarhati: চোখ ভারী হয়ে যাচ্ছে, আর তারপরই..., কামারহাটিতে জল খেলেই শরীরে বিশেষ প্রতিক্রিয়া, প্রশাসন জারি করল বিশেষ সতর্কতা
কামারহাটিতে ভয়ঙ্কর সংক্রমণImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 23, 2025 | 1:45 PM

কামারহাটি:  জল খেয়ে অসুস্থ অন্ততপক্ষে ২৫ জন। কামারহাটির ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। বেশ কয়েকজনের অবস্থায় গুরুতর। তাঁদেরকে কামারহাটি ইএসআই ও সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পানীয় জল ব্যবহারে সতর্কতা জারি করেছে কামারহাটি পৌরসভা। এই মুহূর্তে এলাকায় চলছে মাইকিং। এলাকায় টোটোয় ঘুরে মাইকিং করছেন খোদ কাউন্সিলর নির্মলা রাই।

প্রথমদিকে ওই এলাকায় এক-দু’জনের শরীর খারাপ হতে শুরু করে। বমি-পায়খানা হতে থাকে। এরপর ওই এলাকার একাধিক পরিবারের একাধিক সদস্যের মধ্য়েই এই উপসর্গ দেখা যায়। চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, জল থেকেই এই উপসর্গ ছড়াতে পারে। ইতিমধ্যেই জলের নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষাকেন্দ্রে। রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে, কী থেকে সমস্যার সূত্রপাত। এলাকায় অস্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে খোলা হয়েছে। সেখানে ডাক্তার দেখাতে এসেছেন একাধিক ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত এলাকাবাসী।

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বসেই এক রোগী বললেন, “আমার তো শরীর ভীষণ দুর্বল। পায়খানা-বমি এত হয়েছে। ওষুধ খাওয়ার পর সেটা বন্ধ হয়, তবে মাথা তুলে বসতেই পারছি না। চোখ ভার ভার লাগছে…” আরেক বয়স্ক ব্যক্তি বললেন, “আমার পাঁচ বার হয়েছে বটে, কিন্তু আমার বাড়ির লোকের ১৫ বার পর্যন্ত পায়খানা হয়েছে। শরীর থেকে সব জল বেরিয়ে যাচ্ছে। ভীষণ দুর্বল। ওকে তো অনেক কষ্ট করে এখানে আনতে হয়েছে।”

কর্তব্যরত চিকিৎসক সুদীপ্ত সরকার বলছেন, “একটা সংক্রমণ তো ছড়াচ্ছেই, এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। তবে একটা পকেটেই হচ্ছে। জলের নমুনা পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টটা পেন্ডিং। গত তিন ‘দিনের ৫০ জনের মতো রোগী এখানে এসেছেন। ”

অস্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছিলেন কাউন্সিলর নির্মলা রাইও। তিনি বলেন, “আগে থেকে পরিস্থিতি অনেক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিন দিন মারাত্মক অবস্থা ছিল। আমরা বুঝতে পারছি না কী থেকে হল, জল না কোনও খাবার!”