বনগাঁ: নামী কোম্পানি থেকে ঋণ দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা অভিযোগ। প্রতারণা চক্রের পাণ্ডা-সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করল উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। জানুয়ারি মাসের ১২ তারিখে বাগদার শ্রীনাথ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ফোনেই তাঁকে সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা লোন দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। অভিযোগ, কথা বলার ফাঁকেই নানাভাবে তাঁর কাছে ব্যাঙ্কের নথি জেনে নেয় প্রতারকরা। তাঁর কাছ থেকে ধাপে ধাপে ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৮৮৬ টাকার প্রতারণা করা হয়।
অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে রীতিমতো কল সেন্টার খুলে বসেছিল প্রতারকরা। পার্ক স্ট্রিট এলাকায় হানা দিয়ে সেখান থেকে ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যার মধ্যে পাঁচজন মহিলা এবং পাঁচজন পুরুষ। তাদের কাছ থেকে কম্পিউটার, হার্ড ডিস্ক ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, এই চক্র ৪৫ থেকে ৫০ লক্ষ টাকার প্রতারণা করেছে। তদন্তকারীদের ধারণা, এই অঙ্কটা আরও বেশি হতে পারে। ধৃতদের আজ বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ধৃতদের মধ্যে চার জন মূল পান্ডাকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে বাকিদের খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
গত কয়েকদিনে সাইবার প্রতারণা রীতিমতো সাধারণ মানুষের কাছে ‘থ্রেট’ হয়ে উঠেছে। কখনও আধার কার্ডের বায়োমেট্রিকের মাধ্য়মে, কখনও ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে, কখনও আবার ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার নাম করে ফোন করে প্রতারণা হচ্ছে। অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে টাকা।