Cooperative Society: লাল ঝড়ে উড়ে গেল তৃণমূল, বামেদের বিপুল জয় সমবায়ে
Gaighata: ডুমা এল এস প্রাইমারি কো-অপারেটিভ এগ্রিল ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ ২০২২ সালের এপ্রিল মাসেই শেষ হয়। বামেদের অভিযোগ, কোনওভাবেই ভোট করাতে চাইছিল না শাসকদল। এ মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। সেই লড়াইয়ে এলো জয়।
উত্তর ২৪ পরগনা: গাইঘাটায় সমবায় ভোটে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখল বামেরা। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল সেখানে কার্যত ধরাশায়ী। গাইঘাটা ব্লকের ডুমা সমবায় সমিতি। ৫১ আসনের এই সমবায়ে ৪০টি আসনে জিতেছেন বাম সমর্থিত প্রার্থীরা। ১১টি পেয়েছে তৃণমূল। এই জয় গাইঘাটার বাম কর্মী সমর্থকদের আগামীর লড়াইয়ে শক্তি জোগাবে বলেই আশাবাদী নেতৃত্ব।
ডুমা এল এস প্রাইমারি কো-অপারেটিভ এগ্রিল ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ ২০২২ সালের এপ্রিল মাসেই শেষ হয়। বামেদের অভিযোগ, কোনওভাবেই ভোট করাতে চাইছিল না শাসকদল। এ মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। সেই লড়াইয়ে এলো জয়।
বাম নেতা কপিল ঘোষ বলেন, “ভোটের যে নির্দিষ্ট সময় ছিল তা প্রায় এক বছর চলে গিয়েছে। তৃণমূল ভোটটা করতে দিতেই চাইছিল না। আমাদের সমবায়ের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ ওরা তুলতে পারেনি। আমাদের দেবপ্রসন্ন মজুমদার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এই সমবায় চালিয়েছেন। মানুষ ঢেলে ভোট দিয়েছেন। কারণ তাঁরা জানেন দুর্নীতিমুক্ত সমবায় চালাতে গেলে বাম গণতান্ত্রিক শক্তিকে এখানে রাখতে হবে।”
অন্যদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি গোবিন্দ দাসের কথায়, “গত নির্বাচনেই ওখানে এক একটা বাড়িতে ৪-৫ জন ভোটার বামেরা করে রেখেছে। তার কোনও পরিবর্তন হয়নি। ২০১১ সালের পর কিছু মানুষ আমাদের সঙ্গে এসেছেন। আমরা একটা লড়াই করে দেখলাম। তবে এভাবে হবে না। লড়াই করতে গেলে ভোটার লিস্ট চাই। সিঙ্গল হাউজ সিঙ্গল ভোটার চাই। একটা বাড়িতে ৮ জন অবধি ভোটার করে রেখেছে। তবে এই ফলাফলে আমরা আশাবাদী।”