Madan Mitra: ‘আপনি কোন হরিদাস পাল? মদন মিত্র আসছে জেনেও বেরিয়ে গেলেন?’ ফোনেই হাসপাতালের অধ্যক্ষকে ‘ধমক’ মদনের

Madan Mitra: দালালরাজের অভিযোগে সরব হয়েছেন মদন। এদিন হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধানের সঙ্গে ফোনে মদন মিত্রকে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শোনা যায়। অধ্যক্ষকে 'হরিদাস পাল' বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

Madan Mitra: আপনি কোন হরিদাস পাল? মদন মিত্র আসছে জেনেও বেরিয়ে গেলেন? ফোনেই হাসপাতালের অধ্যক্ষকে ধমক মদনের
সাগর দত্ত হাসপাতালে অধ্যক্ষকে ফোন মদনেরImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 26, 2023 | 8:48 PM

কলকাতা: সরকারি হাসপাতালে রমরমিয়ে চলছে দালালচক্র! কয়েকদিন আগে সাগর দত্ত হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর পর এই অভিযোগ প্রকট হয়। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তাঁরা ধরা পড়েননি এখনও। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। আজ মঙ্গলবার সদলবলে ডেপুটেশন জমা দিতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে অবাক হয়ে যান তিনি। দেখেন, অধ্যক্ষই সেখানে নেই। তিনি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন শুনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মদন মিত্র। সেখানে বসেই ফোন করে অধ্যক্ষকে কার্যত ধমক দেন তিনি।

হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধানের সঙ্গে ফোনে মদন মিত্রকে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শোনা যায়। অধ্যক্ষকে ‘হরিদাস পাল’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, “আমরা নাম মদন মিত্র। যদি মনে করেন, দালাল চক্র চলবে আর সাধারণ মানুষ হেনস্থার শিকার হবে, তাহলে সাগর দত্তে অন্য চেহারা নেবে।” ধমকের সুরে মদন বলেন, “আপনি বিকেল ৪টেয় বেরিয়ে গেলেন কেন? এত বড় দালাল চক্র চলছে জেনেও কোনও এফআইআর করলেন না কেন? মদন মিত্র আসছে জেনেও আপনি বেরিয়ে গেলে কী করে? দরকার হলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব। এত টাকা মাইনে পান আর কয়েক ঘণ্টা পরই বেরিয়ে যান কীভাবে?”

“ভবিষ্যতে হাসপাতালে ঢুকতে পারবেন তো?” এই ভাষায় কার্যত অধ্যক্ষকে হুমকি দেন মদন মিত্র। বিধায়ক প্রশ্ন করেন, “এফআইআর কেন করলেন না? আপনি কী বোঝাতে চাইছেন? দালাল নেই?” কথোপকথন শেষে অবশ্য মদন অধ্যক্ষকে বলেন, “আপনাকে আমি অন্যরকম সম্মান করি। আপনি অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন।”

রমেশ হালদার নামে এক রোগীর মৃত্যুতে দালালচক্রের অভিযোগ ওঠে সাগর দত্তে। মূল অভিযুক্ত জাবেদ আলি গ্রেফতার না হওয়ায় সরব হয়েছিলেন মদন। মদন মিত্র নিজে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তারপরও কেউ না ধরা পড়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও সরব হন মদন। এবার ভর্ৎসনা করলেন খোদ অধ্যক্ষকে। অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে ওঁর ভাল সম্পর্ক। কোনও ভুল বোঝাবুঝি নিশ্চয় হয়েছে।”