
ঠাকুরনগর: একদিকে আমরণ অনশনে বসবেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। অন্যদিকে, তাঁর বাড়ির সামনেই প্রতিবাদ অবস্থানে বসার হুঁশিয়ারি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীদের। যা ঘিরে ঠাকুরবাড়িতেও চরমে বিবাদ। SIR ও মতুয়া ভোটকে কেন্দ্র করেই ফের ‘মেতে উঠেছে’ দু’পক্ষ।
সম্প্রতি অনশনের ডাক দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। আগামী ৫ তারিখ ঠাকুরনগরের বড়মা বীণাপানি দেবীর ঘরের সামনেই আমরণ অনশনে বসতে চলেছে মমতাবালার সংগঠন। কিন্তু কেন এই প্রতিবাদ? তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছেন, নাম যদি বাদ যায় তবে সবথেকে বেশি কোপ পড়বে মতুয়াদের উপরেই। তাই তাঁদের হয়েই লড়াইয়ে নামছেন তিনি।
একদিকে মমতাবালা ঠাকুর যখন ডাক দিয়েছেন অনশনের। সেই আবহেই তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিবাদের হুঙ্কার দিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর পরিচালিত অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের দ্বিতীয় সমান্তরাল কমিটি। মমতাবালা ঠাকুরের বিরুদ্ধে তাঁরই বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তাঁরা। এদিন দ্বিতীয় সমান্তরাল কমিটির (শান্তনু পরিচালিত) সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দ্রনাথ গাইন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরের জন্ম নিয়ে মমতাবালা ঠাকুর যে কদর্য মন্তব্য করেছেন, আমরা তার সম্পূর্ণ বিরোধিতা করি। ওনাকে ক্ষমা চাইতে হবে। আর তিনি যদি ক্ষমা না চান, তা হলে আগামী ৫ তারিখ থেকে ওনার বাড়ির সামনে আমরা অবস্থান বিক্ষোভে বসব।’
মমতাবালা ঠাকুরের অনশন নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেছেন তিনি। সুখেন্দ্রনাথের কথায়, ‘উনি ঠিক কী কারণে অনশন করবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। কখনও বলছেন, SIR-র বিরোধিতায় অনশন করবেন। কখনও আবার বলছেন, CAA-র বিরোধিতায় করবেন। তবে আমরা একটা জিনিসই জানি। ওনর সঙ্গে যাঁরা অনশনে বসবেন, তাঁরা সব স্বঘোষিত মতুয়া।’