AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Santanu Thakur: বৈঠা বেয়ে ত্রাণ নিয়ে গেলেন শান্তনু ঠাকুর, তৃণমূল বলছে, ‘লোক দেখানো’

Gaighata: উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার সুটিয়া পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। বহু মানুষই ঘর ছেড়ে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে অনেকে বাড়ি ছাড়া হতে চাননি। বলদেঘাটায় প্রায় ১৫০-এর বেশি পরিবার জলবন্দি। এলাকায় ত্রিপল দিয়ে আসেন শান্তনু ঠাকুর।

Santanu Thakur: বৈঠা বেয়ে ত্রাণ নিয়ে গেলেন শান্তনু ঠাকুর, তৃণমূল বলছে, 'লোক দেখানো'
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2024 | 10:06 PM
Share

বারাসত: নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ভেসেছে খাল। আর সেই খালের জলে ডুবেছে সুটিয়ার জনজীবন। বৃহস্পতিবার নৌকায় চড়ে সেই গ্রামে ত্রাণ নিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এলাকার লোকজনের এই দুর্ভোগের জন্য দুষলেন রাজ্য সরকারকেই। গাইঘাটার বলদেঘাটায় জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে এদিন নিজেই বৈঠা বেয়ে গ্রামে পৌঁছন শান্তনু।

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার সুটিয়া পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। বহু মানুষই ঘর ছেড়ে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে অনেকে বাড়ি ছাড়া হতে চাননি। বলদেঘাটায় প্রায় ১৫০-এর বেশি পরিবার জলবন্দি। এলাকায় ত্রিপল দিয়ে আসেন শান্তনু ঠাকুর।

তবে স্থানীয় বাসিন্দা ঝুমা মণ্ডলের কথায়, “প্রতি বছর আমাদের এই দুর্ভোগ। শান্তনুবাবু আমাদের সাহায্য করতে এসেছেন। কিন্তু ত্রিপল নিয়ে কী করব? আমাদের তো মাথার উপরে ছাদ আছে। থাকার জায়গা আছে। এলাকা জলে এমনভাবে তলিয়ে যায়, বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না। বাজার যেতে পারে না। আমরা চাই খালটা সংস্কার করা হোক। পঞ্চায়েত থেকে কোনও সাহায্য পাইনি। দেড়শোর বেশি পরিবার জলে পড়ে। সুটিয়া অঞ্চলের মধ্যে। কেউ আসেনি দেখতে। এই শান্তনুবাবুই প্রথম এলেন।”

শান্তনু ঠাকুরের কথায়, “খুব খারাপ পরিস্থিতি। বলদেঘাটার খাল সংস্কারের জন্য বহুবার টাকা এসেছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই খালের টাকা খেয়ে বসে আছেন। ৫-৭ বার টাকা এসেছে। তৃণমূলের নেতারা বড় বড় ভাষণ দেন, কাজের কাজ করেননি। ইছামতী খননের কথা বলেন। রাজ্য সরকার এনওসি দিচ্ছে না পুরো ইছামতী খননের। কতদিন এভাবে বসে থাকব? রাজনীতির তাস খেলতে এসব করছে।”

যদিও শান্তনুর অভিযোগ মানতে চাননি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, অন্যান্য কর্মাধ্যক্ষ প্রতিনিয়ত যাচ্ছেন, যোগাযোগ রাখছেন। সভাধিপতি নিজে গিয়েছিলেন। বিডিওর সঙ্গে বৈঠকও করা হয়েছে। বিশ্বজিৎ দাসের কথায়, “শান্তনু ঠাকুর ৫টা ত্রিপল দিয়ে সমস্য়ার সমাধান করে ফেলতে পারেন না। এটা লোক দেখানো, রাজনীতি।”