বারাসত: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বিভিন্ন জায়গায় দলবদলের খবর উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে এবার জল্পনা বাড়ছে কামদুনি ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়ালের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে। ভোটের আগে মৌসুমী কি যোগ দিতে চলেছেন বিজেপি-তে? বাড়ছে চাপানউতর।
বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত সুভাষ ইনস্টিটিউট হলে মরিচঝাঁপির ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে বিজেপির একটি অরাজনৈতিক কর্মসূচি ‘গণহত্যা স্মৃতিরক্ষা কমিটিতে’ হাজির ছিলেন মৌসুমী কয়াল। এরপরই কার্যত জল ঘোলা হতে শুরু করে। তবে কি পদ্ম শিবিরেই নাম লেখাবেন তিনি? এ সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁকে প্রশ্নও করেন সাংবাদিকরা।
উত্তর দিতে গিয়ে মৌসুমী সর্বপ্রথম বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বলেন, “আমাদের দশ বছরের লড়াই ছিল। এ রাজ্যে যে বিচার দেওয়া হয়েছিল তাতে আমরা সন্তুষ্ট হলাম না। সুপ্রিম কোর্টে যেতে হল। আমাদের পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী।” একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে ধর্মীয় রাজনীতি পরিবেশ হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই। তবে আমি সব ধর্মকে শ্রদ্ধা করি।” রাজ্য সরকারকে দুর্নীতি ইস্যুতেও বিঁধতে দেখা গিয়েছে প্রতিবাদীকে। তিনি বলেছেন, “মরিচঝাঁপিতে গণধর্ষণ পর্যন্ত হয়েছিল। তার বিচার এখনও হয়নি। এই রাজ্য সরকারের আমলে আমার মনে হয় না বিচার পাব। কারণ এই আমলে চাকরি বিক্রি থেকে শুরু করে,দুর্নীতি বাদ কোনও কিছুই নেই।”
রাজনীতি আসা নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন মৌসুমী। আগামীতে রাজনীতিতে আসতে পারেন বলেও হাসিমুখে ইঙ্গিত দেন তিনি। বলেন, “আমি এখন কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। তবে মানুষের কাজ করতে হলে রাজনীতি হল শক্ত ময়দান। তাই সময় বলবে কী করব।” ফলত, মৌসুমীর এই হাসির ফাঁকেই যে আসল উত্তর লুকিয়ে রয়েছে তা কার্যত অনুমান করেছেন রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশ।