উত্তর ২৪ পরগনা: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে ধুন্ধুমাক পরিস্থিতি নৈহাটিতে। দুই দলের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্ততপক্ষে পাঁচ জন আহত হয়েছে। চলেছে বেপরোয়া ভাঙচুরও। সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ২টি গাড়ি। বুধবার রাতের সংঘর্ষের ঘটনায় বিজেপি নেত্রী শম্পা সরকারের স্বামী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৃণমূল ও বিজেপি উভয়পক্ষই নৈহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। বিজেপি কর্মী সৌমেন সরকারকে মারধরের অভিযোগে নৈহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে ইতিমধ্যে আটক করেছে নৈহাটি থানার পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অভিজিত নৈহাটি এলাকার যুবনেতা। সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক দিন ধরেই বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে রয়েছে। বুধবার রাতের দিকে বিজেপি কর্মী সৌমেন সরকার ওরফে নাচুকে মারধরের অভিযোগ ওঠে অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তবে পাল্টা অভিযোগ উঠছে, নৈহাটির নদিয়া মিলের গেস্ট হাউসের সামনেই বিজেপি নেত্রীর স্বামী অভিজিতকে দেখে গালিগালাজ করেন। তার প্রতিবাদ করাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিজিতের বাইকও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।
তৃণমূল যুব নেতার বক্তব্য, “আমাকে দেখলেই আগে থেকে গালিগালাজ করত। কিন্তু আমরা বিশেষ পাত্তা দিতাম না। বুধবার তা মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায়। আমরা প্রতিবাদ করলেই ওর লোকজন মারধর করা শুরু করে।” অন্যদিকে, চেয়ারম্যানের বক্তব্য, “ঘটনার সময়ে আমি এলাকায় ছিলাম না। বলতে পারব না কী হয়েছে। তবে আমি মনে করি অভিজিৎ সেরকম কোনও কাজ করেনি।” স্থানীয় বিজেপি নেতার বক্তব্য, “সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বিরোধীদের মধ্যে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করতেই এই হামলা চলছে। পিছনে একই লোক কাজ করছে। ” এলাকায় একটা চাপা উত্তেজনা রয়েছে।