
সন্দেশখালি: এখনও তপ্ত বসিরহাট পুলিশ জেলার সন্দেশখালি। মিনাখাঁ সাব ডিভিশনের অন্তর্গত এই এলাকায় বিগত কয়েকদিন ধরেই একের পর এক অশান্তির ছবি সামনে আসছে। অভিযোগ উঠছে জমি দখল অত্যাচার সহ একাধিক বিষয়ে। ধামাখালি, জেলিয়াখালির পর শুক্রবার থেকে নতুন করে তপ্ত হয়ে ওঠে বেড়মজুর। নামে পুলিশ, কমব্যাট ফোর্স। অশান্ত সন্দেশখালিতে শান্ত করতে এদিন নতুন করে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে সন্দেশখালিতে মোতায়েন ৪৫০ জনের কাছাকাছি পুলিশ বাহিনী। রয়েছে র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স-সহ রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। মহিলা পুলিশের সংখ্যা একশো থেকে দেড়শোর কাছাকছি।
আইপিএস পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন ৩০ জনের কাছাকাছি। এছাড়াও ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক আছেন ৮ জন, আছেন সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক ২৫ জনের কাছাকাছি। এছাড়াও পুলিশের বড় কর্তাদের আনাগোনা লেগেই আছে সন্দেশখালি এলাকায়। একাধিক এলাকায় ঘুরছেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার।
এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলানোর জন্য দফায় দফায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে দক্ষ আইপিএস অফিসারদের। এখন দেখার কবে ঠান্ডা হয় পরিস্থিতি। এদিকে এখনও অধরা সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। একদিন আগেই আদালতে তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। এদিকে আবার এদিনই সন্দেশখালিতে গিয়েছেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। ঘুরে দেখছেন এলাকা। গিয়েছেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্য়ায়। যদিও একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারার কথা বলে পথ আটকায় পুলিশ।