Noapara: স্ত্রীর মৃত্যুর পর সন্তানের কথা ভেবে দ্বিতীয় বিয়ে, কিন্তু প্রথম পক্ষের সন্তানের সঙ্গে যে দ্বিতীয় স্ত্রীর রসায়নের পরিণতি এই হবে, ভাবতেও পারেননি
Noapara: নোয়াপাড়ার বাসিন্দা জিতেন্দ্র সাউয়ের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে অনেক বছর আগে। তাঁরই সন্তান আয়ুস। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর কয়েক বছর পর রিঙ্কু সাউ নামে আরও এক জনকে বিয়ে করেছিলেন জিতেন্দ্র।
![Noapara: স্ত্রীর মৃত্যুর পর সন্তানের কথা ভেবে দ্বিতীয় বিয়ে, কিন্তু প্রথম পক্ষের সন্তানের সঙ্গে যে দ্বিতীয় স্ত্রীর রসায়নের পরিণতি এই হবে, ভাবতেও পারেননি Noapara: স্ত্রীর মৃত্যুর পর সন্তানের কথা ভেবে দ্বিতীয় বিয়ে, কিন্তু প্রথম পক্ষের সন্তানের সঙ্গে যে দ্বিতীয় স্ত্রীর রসায়নের পরিণতি এই হবে, ভাবতেও পারেননি](https://images.tv9bangla.com/wp-content/uploads/2024/06/Noapara-1.jpg?w=1280)
নোয়াপাড়া: প্রথম পক্ষের স্ত্রীর মৃত্যু যখন হয়েছিল, তখন সন্তান অনেক ছোটো। পরিবারের সদস্যদের চাপে ও সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আরও একটা বিয়ে করেছিলেন জিতেন্দ্র। দ্বিতীয় পক্ষেরও দুই ছেলে রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে সৎ ছেলেকে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি জিতেন্দ্র দ্বিতীয় স্ত্রী। তাঁর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন বলে অভিযোগ। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে সৎ মা-কে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন প্রতিবেশীরা। ঘর থেকে উদ্ধার হয় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। অভিযোগ, তার সৎ মা মেরে তাকে ঝুলিয়ে দিয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম আয়ুস সাউ। ঘটনায় তার সৎ মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নোয়াপাড়ার বাসিন্দা জিতেন্দ্র সাউয়ের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে অনেক বছর আগে। তাঁরই সন্তান আয়ুস। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর কয়েক বছর পর রিঙ্কু সাউ নামে আরও এক জনকে বিয়ে করেছিলেন জিতেন্দ্র। এ পক্ষে তাঁর আরও দুই ছেলে হয়। অভিযোগ, রিঙ্কু আয়ুসের ওপর প্রথম থেকেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। সপ্তম শ্রেণির আয়ুস পড়ত। তাকে দিয়ে পরিবারের অনেক কাজ করাতেন, কাজ না পারলে তাকে মারধর করা হত, খাওয়াও বন্ধ থাকত অনেক সময়ে। প্রতিবেশীরা সে কথা জানতেন। জিতেন্দ্রকেও সেকথা জানাতেন। কিন্তু সেভাবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
রবিবার সকালে বাড়ির ঘর থেকেই আয়ুসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তখনই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রতিবেশীরা। অভিযোগ, সৎ মা রিঙ্কুই তাকে মেরে ঝুলিয়ে গিয়েছে। পুলিশের কাছেও সেই অভিযোগ করেন তাঁরা। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।