Agarpara: NRC আতঙ্কে আত্মঘাতী? আগরপাড়ার প্রদীপ করের বাড়িতে যাচ্ছেন অভিষেক

NRC Panic Suicide Case: মঙ্গলবার সকালে প্রদীপ করের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁরই ঘর থেকে। যখন বাংলায় SIR শুরু হয়ে গিয়েছে, সেই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে এই মৃত্যু রাজনৈতিকভাবেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিবারের অভিযোগ, NRC-র আতঙ্কেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। তাঁর পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটেও সেই বিষয়টি উল্লেখ।

Agarpara: NRC আতঙ্কে আত্মঘাতী? আগরপাড়ার প্রদীপ করের বাড়িতে যাচ্ছেন অভিষেক
ডান দিকে, মৃত প্রদীপ করImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 29, 2025 | 11:24 AM

কলকাতা: আগরপাড়ায় বছর সাতান্নর প্রৌঢ় প্রদীপ করের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, যা নিয়ে তুঙ্গে রাজ্য রাজনীতি। বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ওই ব্যক্তির পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি নোট, পুলিশের দাবি, তাতে লেখা, ‘আমার মৃত্যুর জন্য NRC দায়ী’। ছ’শব্দের এই সুইসাইড নোটে জল গড়িয়েছে বহু দূর। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে সরব হয়েছেন। সাংবাদিক বৈঠকে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বুধবার দুপুরে খোদ অভিষেক নিজেই যাচ্ছেন প্রদীপ করের বাড়িতে। মৃতের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে প্রদীপ করের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁরই ঘর থেকে। যখন বাংলায় SIR শুরু হয়ে গিয়েছে, সেই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে এই মৃত্যু রাজনৈতিকভাবেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিবারের অভিযোগ, NRC-র আতঙ্কেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। তাঁর পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটেও সেই বিষয়টি উল্লেখ।

এই খবর প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই  তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, অবিলম্বে এই নির্মম খেলাটি বন্ধ করুক কেন্দ্র। ঘটনার কথা উল্লেখ করে পোস্টে লিখছেন, ‘আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি যে এই নির্মম খেলাটি চিরতরে বন্ধ হোক। বাংলা কখনও এনআরসি অনুমোদন করবে না। কাউকে আমাদের জনগণের মর্যাদা কেড়ে নিতে দেবে না।’

বিকালে সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিষেক। সেখানে মূলত SIR ইস্যুতে কেন্দ্র ও মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে সপ্তমে সুর চড়ান তিনি। আর সে প্রসঙ্গে তুলে আনেন প্রদীপ করের মৃত্যুর বিষয়টি। তিনি বলেন, “প্রদীপ কর মারা গেলেন, তার বদলা রাজনৈতিকভাবে বাংলার মানুষ দেবে। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী অমিত শাহ ও জ্ঞানেশ কুমার। তাদের নামে FIR হওয়া উচিত।”