Nusrat Jahan: ‘নুসরতকে অনেক সাহায্য করেছেন রাকেশ’, মুখ খুললেন আর এক ডিরেক্টর রূপলেখা

Nusrat Jahan: ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণা! রূপলেখা স্বীকার করেছেন তাঁদের সংস্থার কাছে ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা পাওনা আছে কয়েকজনের।

Nusrat Jahan: নুসরতকে অনেক সাহায্য করেছেন রাকেশ, মুখ খুললেন আর এক ডিরেক্টর রূপলেখা
নুসরত-কাণ্ডে মুখ খুললেন রূপলেখাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 01, 2023 | 5:23 PM

বেলঘড়িয়া: সংস্থার নাম ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’। যে সংস্থার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠছে, তার অন্য়তম ডিরেক্টর ছিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান। সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সামনে আসতেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। প্রশ্ন উঠছে, সংস্থার সঙ্গে ঠিক কতটা যোগ ছিল নুসরতের? আদৌ কি কোনও সুবিধা পেয়েছিলেন তিনি? এবার মুখ খুললেন সেই সংস্থারই আর এক ডিরেক্টর, পেশায় অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্র। বেলঘড়িয়ায় এই অভিনেত্রীর ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েই চলে ওই সংস্থার অফিস।

সোমবার ইডি অফিসে গিয়ে নুসরত তথা ওই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন একাধিক অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডাও। ওই অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীদের দাবি, সমবায়ের মাধ্যমে ফ্ল্যাট পাওয়ার জন্য় টাকা জমা দিলেও ফ্ল্যাট পাননি তাঁরা। অভিযোগ, ওই সংস্থারই ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত। নুসরত এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি। সূত্রের খবর, এই মামলায় আইনজীবীদের পরামর্শ নিচ্ছেন তিনি।

মঙ্গলবার বেলঘড়িয়ার রূপলেখার ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখা গেল, ওই আবাসনেরই একটি ফ্ল্যাটে রয়েছে  ‘উই ব্রিং এক্সিম প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থার অফিস। হোর্ডিং ঝুলছে সেখানে। রূপলেখা জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি ও রাকেশ এই সংস্থারই ডিরেক্টর। ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ই নাম বদলে হয়েছে উই ব্রিং এক্সিম। বর্তমানে নুসরতের সঙ্গে সংস্থার কোনও যোগাযোগ না থাকলেও অভিনেত্রী যে ‘সেভেন সেন্সেস’ সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন, সে কথা জানিয়েছেন রূপলেখা। তিনি জানান, রাকেশ সিং, নুসরত ও তিনি নিজে ডিরেক্টর পদে ছিলেন।

রূপলেখা স্বীকার করেছেন তাঁদের সংস্থার কাছে ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা পাওনা আছে কয়েকজনের। নোটবন্দি ও কোভিড পরিস্থিতির জন্য ফ্ল্যাটের কাজ হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি। রূপলেখা মিত্র আরও জানিয়েছেন, তাঁরই ফ্ল্যাট রাকেশ সিংকে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল, তাতেই চলছে সংস্থার অফিস।

অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের পর থেকে নুসরত আর ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। তবে, একটা সময় নুসরত যেতেন ওই অফিসে। নুসরতকে রাকেশ প্রচুর সাহায্য করেছেন বলেও দাবি রূপলেখার। তিনি বলেন, নুসরতের বোনের পড়াশোনার খরচ রাকেশ সিং-ই চালাতেন।

উল্লেখ্য, ইচ্ছে, কলি সহ বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন রূপলেখা। আর এই সিনেমার সূত্রেই রাকেশ সিং-এর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। তারপরই কনস্ট্রাকশান ব্যবসা শুরু।