শ্যামনগর: সপ্তম শ্রেণির ছাত্রকে চোখে আঘাত করার অভিযোগে গ্রেফতার শিক্ষক। আহত পড়ুয়া দৃষ্টি শক্তি আদৌ ফিরে পাবে কি না সেই বিষয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামনগরে।
জানা গিয়েছে,বছর বারোর পথিকৃৎ দাস সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। গত দু’বছর ধরে শ্যামনগর ২৪ নম্বর রেলগেটের কাছে একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সে কম্পিউটার শিক্ষা নিচ্ছিল। গত ১৪ নভেম্বর শিশুদিবসের দিন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের এক কম্পিউটার শিক্ষকের বিরুদ্ধে পথিকৃতের চোখে আঘাত করার অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত প্রশিক্ষকের নাম সুসময় বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপর পড়ুয়া বাড়িতে এসে পরিবারকে জানায়। কিশোরকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে অপারেশনের পরামর্শ দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে বেঙ্গালোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার করলেও দৃষ্টি ফেরার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত ছাত্রের পিসি নিবেদিতা মোদক। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে জগদ্দল থানার পুলিশ অভিযুক্ত সুসময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে। আহতের পিসি বলেন, “ও কম্পিউটারে শিখতে যায়। স্যরকে খাতা দেখাতে গিয়েছিল। স্যরের পাশেই দাঁড়িয়েছিল পথিকৃত। সেই সময় ওই স্যর ডায়েরি ছুড়ে মারে। সেটা চোখে লাগে। বাঁ চোখের কর্নিয়া তখনই ফেটে যায়। রেটিনা নষ্ট হয়। ও বারবার বলে আমি দেখতে পাচ্ছি না। ও অনেকবার বলার পর স্যর বলে তোর চোখে পোকা ঢুকেছে।”