দত্তপুকুর: দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত নীলগঞ্জে বাজি বিস্ফোরণকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত রমজান আলিকে এবার গ্রেফতার করল পুলিশ। গতরাতেই তাকে গ্রেফতার করেছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। বাজি বিস্ফোরণের ঘটনার পর বেশ কিছুদিন ধরেই ফেরার ছিল ওই ব্যক্তি। অবশেষে তার সন্ধান পায় পুলিশ। গতরাতে কদম্বগাছি থানা এলাকা থেকে বাজি বিস্ফোরণকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত রমজানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ অভিযুক্তকে বারাসত আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তার ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবীর তরফে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। অন্যদিকে অভিযুক্তের আইনজীবীর বক্তব্য, তাঁর মক্কেলকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে রমজানের কোনও যোগ নেই বলেও দাবি তাঁর আইনজীবীর। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠান অভিযুক্তকে।
প্রায় একমাস কেটে গিয়েছে নীলগঞ্জের বাজি বিস্ফোরণের। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে এদিক ওদিক ছিটকে পড়েছিল দেহ। ভয়ঙ্কর সেই বিস্ফোরণে ন’জনের মৃত্যু হয়েছিল। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল বিস্ফোরণস্থল। ঘটনার পর তড়িঘড়ি সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্য়মন্ত্রী রথীন ঘোষ। বাজি বিস্ফোরণের পর শুরুর দিন থেকেই রথীন ঘোষ অভিযোগ তুলে আসছিলেন এই রমজান আলি নামক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। রথীন ঘোষের দাবি ছিল, এই রমজান আলি আইএসএফ করেন এবং এলাকার বাজি বিক্রেতাদের আশ্রয় দিতেন এই ব্যক্তি। ঘটনায় রমজান আলির নাম জড়ানোর পর অভিযুক্তর মা সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, তাঁর ছেলে আইএসএফ করত।
শাসক দল যখন আইএসএফের কোর্টে বল ঠেলতে ব্যস্ত ছিল, তখন পাল্টা মুখ খুলেছিলেন নওশাদও। তাঁর প্রশ্ন ছিল, আইএসএফ যদি এসবের সঙ্গে যুক্ত থাকত, তাহলে কি পুলিশ চুপ করে থাকত? যদিও ঘটনার পর থেকে বেশ কিছুদিন ধরে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে গতকাল রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।