Sandeshkhali: মুম্বইয়ে রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ

উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির দু'নম্বর ব্লকের বাসিন্দা মোহর মিস্ত্রি। তিনি পেটের টানে গিয়েছিলেন মুম্বইতে। সেখানেই শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। মোহরের পরিবারের অভিযোগ,বাংলা কথা বলায় মুম্বইতে বারেবারে তাঁকে বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছিল।

Sandeshkhali: মুম্বইয়ে রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ
সন্দেশখালিতে মর্মান্তিক ঘটনাImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 04, 2025 | 1:10 PM

সন্দেশখালি: আবারও বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ উদ্ধার। ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হল শ্রমিকের। বাড়িতে এল তাঁর কফিনবন্দি মৃতদেহ। জানা গিয়েছে, রেল লাইনের পাশ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হল হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির দু’নম্বর ব্লকের বাসিন্দা মোহর মিস্ত্রি। তিনি পেটের টানে গিয়েছিলেন মুম্বইতে। সেখানেই শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। মোহরের পরিবারের অভিযোগ,বাংলা কথা বলায় মুম্বইতে বারেবারে তাঁকে বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। অভিযোগ, এমনকী ওই যুবককে বাংলাদেশি বলে ভাগিয়ে দিচ্ছিল তারা।

পরিবারের দাবি,এরপর দশ দিন আগে মুম্বই রেলস্টেশনের পাশে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পরে মুম্বই থেকে পরিবারের কাছে খবর যায়। এরপর সন্দেশখালি দু নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ মল্লিকের উদ্যোগে তাঁর কফিনবন্দী মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে ফিরে।

দিলীপ মল্লিক বলেন, “বিগত ছ’মাস আগে মুম্বইয়ে কাজে গিয়েছিলেন। এখানেই থাকত। পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে মুম্বইয়ে কাজে গিয়েছিলেন একদিন ভোরবেলা তাঁর দেহ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় রেলপুলিশ দেখতে পায়। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখনই ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ছেলেটির বাবা মুম্বই হাসপাতালে গিয়েছিলেন গত পরশুদিন। কফিনবন্দি দেহ বাড়িতে ফিরে এসেছে।” উল্লেখ্য, সামনেই ভোট। আর তার আগে বাঙালি অস্মিতা নিয়ে সরব হয়েছিল তৃণমূল। ভাষা আন্দোলনেরও ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই এবার এসআইআর ইস্যু। শাসকদল ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে ছেড়ে কথা বলা হবে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারেবারে বলেছেন, বাঙালি হেনস্থা বরদাস্ত করা হবে না কোনও ভাবেই। এই আবহের মধ্যে ভিন রাজ্যে আবারও এক বাংলার শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা নিতান্তই তাৎপর্যপূর্ণ।