
বসিরহাট: নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। কয়েকদিন ধরেই নবম শ্রেণির ওই নাবালিকাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। থানায় নিখোঁজ ডায়রি করা হয়। এরপর মঙ্গলবার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে বাম ছাত্র-যুব সংগঠন। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানা এলাকায়।
পরিবার সূত্রে খবর, গত মার্চ মাসের ১ তারিখ বসিরহাটের বাসিন্দা নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রী নিখোঁজ হয়ে যায়। মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও না পেয়ে পরিবারের তরফ থেকে বসিরহাট থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করে। পরিবার এবং পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি এবং বিভিন্ন সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। কিন্তু মেলেনি কোনও খোঁজ।
এই ঘটনার প্রায় একমাস পর সোমবার রাতে বাদুড়িয়া থানার বাজিতপুর এলাকায় ইছামতি নদীর চরে একটি পচা গলা দেহ উদ্ধার করে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। দেহটি পাঠানো হয় বসিরহাট পুলিশ মর্গে। এরপর বসিরহাট থানার পুলিশের দেহটির পরনে থাকা জামা কাপড় দেখে সন্দেহ হয়। খবর দেওয়া হয় ওই নাবালিকার পরিবারকে। তাঁরা এসে বসিরহাট হাসপাতালের পুলিশ মর্গে এসে দেহটি সনাক্ত করে।
নাবালিকার পরিবারের দাবি, মেয়েটিকে রাস্তায় একা পেয়ে প্রথমে কিডন্য়াপ করা হয়। এরপর তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। পরে তার দেহ লোপাটের জন্য নদীর চরে পুঁতে ফেলার চেষ্টা করা হয়। দোষীদের গ্রেফতারের এবং তাঁদের কঠোর শাস্তির দাবি করছে নাবালিকার পরিবার।
এ প্রসঙ্গে মেয়েটির বাবা বলেন, “এক মাস ধরে মেয়েকে পাচ্ছিলাম না। সোমবার জানতে পারি নদীর চর থেকে ওকে পুলিশ খুঁজে পেয়েছে। ওকে পুঁতে রাখা হয়েছে। একটু আগে পুলিশ মর্গে দেহ সনাক্ত করি। আমার মনে হয় ওকে কেউ গুম করে আটকে রেখেছে। তারপর নির্যাতন চালিয়ে অত্যাচার করে নদীর চরে পুঁতে ফেলা হয়েছে।”