
উত্তর ২৪ পরগনা: বর্তমানে স্থিতিশীল পানিহাটির নির্যাতিতা। এখনও সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গে গভীর ক্ষত রয়েছে। আঘাত রয়েছে মাথাতেও। এখনও তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। পর্নোগ্রাফিকাণ্ডে শ্বেতা খান ও তাঁর ছেলে আরিয়ান খানের একাধিক কার্যকলাপ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, শ্বেতা খান ও আরিয়ান খান বছরে একাধিকবার বিদেশে গিয়েছেন। শ্বেতা মাঝেমধ্যে ব্যাঙ্ককে যেতেন। ব্যাঙ্ককে শ্বেতার কী কানেকশন, সেটা জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
কাদের সঙ্গে শ্বেতা ব্যাঙ্ককে যেতেন, কেন যেতেন, এই সবটাই জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ মনে করছে, হতে পারে, ছেলে আরিয়ানকে নিয়ে বিদেশে চলে গিয়েছেন শ্বেতা। বিশেষ টিম তৈরি করে চলছে তল্লাশি।
পানিহাটির এক নাবালিকার নিখোঁজ-রহস্য, তারপর তাঁকে নিগৃহীত অবস্থায় তাঁর ফিরে আসা, পুলিশে অভিযোগ- এই ঘটনার তদন্তেই উঠে আসে হাওড়ার বাকড়ার বাসিন্দা শ্বেতা-আরিয়ানের কীর্তি। শ্বেতা ও আরিয়ান সম্পর্কে মা-ছেলে। শ্বেতার প্রথম পক্ষের সন্তান আরিয়ান। অভিযোগ, তাঁরা প্রোডাকশন হাউজ করে পর্নোগ্রাফির ব্যবসা চালাতেন। বাড়িতেই চলত পর্নোগ্রাফির ব্যবসা, তেমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। আরিয়ান সামাজিক মাধ্যমে কাজের খোঁজ করা তরুণীদের সঙ্গে আলাপ পাতাতেন। এরপর সামাজিক মাধ্যমে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজের কথা বলে তাঁদেরকে ডেকে নিয়ে যেতেন , তারপর চাপ তৈরি করে পর্নোগ্রাফির শ্যুট করাতেন বলে অভিযোগ। আর বাড়িতে বসেই গোটা বিষয়টি দেখভাল করতেন শ্বেতা। পানিহাটির ওই তরুণীও সেই পরিস্থিতির শিকার। তাঁকেও ইভেন্টের কাজ দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে পর্নোগ্রাফি শ্যুট করার জন্য চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু তা না করায় ঘরে আটকে রেখেছে করা হয়েছে অত্যাচার। কোনওক্রমে হাওড়ার বাকড়ায় শ্বেতার বাড়ি থেকে পালিয়ে আসতে পারেন তরুণী। তারপরই তার পরিবার অভিযোগ দায়ের করে।