পানিহাটি: মহকুমা শাসকের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন পানিহাটির চেয়ারম্যান মলয় রায়। কিন্তু আদৌ কি তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে? তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মলয় রায় নিজের পদত্যাগ পত্রে উল্লেখ করেছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পদত্যাগ করছেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, পদত্যাগ স্বেচ্ছায়, সেটাই উল্লেখ থাকতে হয় চিঠিতে। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মলয় রায় স্বীকার করে নিলেন সবটাই।
TV9 বাংলার একান্ত সাক্ষাৎকারে মলয় রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন, আমি পদত্যাগ করি, সেটাই আমি চিঠিতে লিখে দিয়েছি। সেটাই উল্লেখ করে দিয়েছে। এখন মহকুমা শাসক বেঙ্গল মিউনিসিপ্যালিটি অ্যাক্ট, আইন অনুযায়ী যা করার করবেন। তাতে একটা ন্যায় বিচারের পথ তৈরি করা হবে। পৌরসভার কাউন্সিলরদের মধ্যে ভোট হবে, আলোচনা হবে, নো কনফিডেন্স ভোট হবে. যদি সেটা আসে, তাহলে আমাকে সরে যেতে হবে। আর সবাই যদি বুঝতে পারে, সমস্তটাই একটা গুজবে ভরা, তাহলে কনফিডেন্স আসবে। তাহলে আমার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর সরকার কী করবে, সেটাই সরকারের ভাবনাচিন্তা।”
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর কেন পদত্যাগপত্র পাঠাতে এতটা সময় লেগে গেল? এ বিষয়ে মলয় বলেন, “সময় লাগারই ছিল। অনেক বক্তব্য ছিল, অনেক আলোচনা ছিল, কাগজপত্রের কাজ করতে বেশ কিছুটা সময় চলে গিয়েছে। আমি পদত্যাগপত্র পাঠালাম, সেটা বোর্ড অফ কাউন্সিলর গ্রহণ করছে কিনা, তাতে এই ভোটটাই হবে। সাত দিন অপেক্ষা করুন, সবটা পেয়ে যাবেন ৭ দিনের মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রী তো নির্দেশ দিয়েছেন আমাকে, তাহলে সেটা তো আমাকে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করতেই হবে। ২৪ ঘণ্টা হতে চলেছে, যদি প্রত্যাখ্যান হত, তাহলে জানতে পারতাম। আমি আমার কাজ অফিসিয়ালভাবেই শেষ করেছি।”
মলয় রায়ের পদত্যাগ পত্র গৃহীত হবে কিনা, সেটা সময় বলবে। তবে ‘খেলা হবে’ বলে বিতর্ক জিইয়ে রাখলেন প্রবীণ নেতা। উল্লেখ্য, পানিহাটির অমরাবতী মাঠ প্রোমোটিংয়ের ক্ষেত্রে নাম জড়ানোয় মলয়কে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।