Gaighata School: ৩ জন মোটে পড়ান স্কুলে, তাঁরা যাতে BLO-র কাজে যেতে না পারেন তালা দিয়ে দিলেন অভিভাবকরা

জানা গিয়েছে, গাইঘাটা থানার চণ্ডিগড় স্পেশাল ক্যাডার এফ পি বিদ্যালয়ে মোট তিনজন শিক্ষক রয়েছেন। তাঁরাই পড়ুয়াদের পড়ান। তাঁদের উপরই নির্ভর করে পড়ুয়াদের ভবিষ্যত। কিন্তু সেই তিনজনকেই বিএলও-র কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। প্রত্যেকে চলে গেলে স্কুলের ভে বিষ্যৎ কী হবে?

Gaighata School: ৩ জন মোটে পড়ান স্কুলে, তাঁরা যাতে BLO-র কাজে যেতে না পারেন তালা দিয়ে দিলেন অভিভাবকরা
আটকে শিক্ষকরাImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 04, 2025 | 2:36 PM

গাইঘাটা: আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে এসআইআর (SIR)। বিএলও-রা যাবেন বাড়ি-বাড়ি। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় ঘটল বিরল ঘটনা। সেখানে স্কুল শিক্ষকদের বিএলও-র কাজে যেতে দেবেন না অভিভাবকরা। সেই কারণে স্কুলের মধ্যেই তাঁদের তালা বন্ধ করে রাখলেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, গাইঘাটা থানার চণ্ডিগড় স্পেশাল ক্যাডার এফ পি বিদ্যালয়ে মোট তিনজন শিক্ষক রয়েছেন। তাঁরাই পড়ুয়াদের পড়ান। তাঁদের উপরই নির্ভর করে পড়ুয়াদের ভবিষ্যত। কিন্তু সেই তিনজনকেই বিএলও-র কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। প্রত্যেকে চলে গেলে স্কুলের ভে বিষ্যৎ কী হবে? পড়াশোনা চলবে কীভাবে? প্রসঙ্গত, এর আগে এমনও ঘটনা জেলা থেকে এসেছে যেখানে দেখা গিয়েছে স্কুলে পড়ান একজন শিক্ষক। আর তাঁকেই পাঠানো হয়েছে BLO করে। ফলে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে সেই স্কুলের ভবিষ্যত।

কিন্তু এদিন শিক্ষকরা স্কুলে আসতেই তাঁদের অভিভাবকরা তালা বন্ধ করে রাখেন। তাঁদের একটাই দাবি, বিএলও-র কাজ নয় শিক্ষকদের পড়াতে হবে ছাত্রদের। এ দিকে এই ঘটনায় বেড়েছে উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে পৌঁছছে জয়েন বিডিও এবং গাইঘাটা থানার পুলিশ। আটকে থাকা এক শিক্ষক বলেন, “আমাদের আটকে রেখেছিল। গেটে তালা দিয়েছিল। এই স্কুলে আমরা তিনজন পড়াই। আর তিনজনকেই বিএলও-র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণে তালা দিয়ে দিয়েছে। এই স্কুলে মোট পাঁচজন। তার মধ্যে আছি তিনজন। বাকি দুজন নেই। আমরা চলে গেলে কে পড়াবে? সেই কারণে অভিভাবকরা চাইছেন শিক্ষক নিয়োগ হোক।” এক অভিভাবক বলেন, “আমাদের স্কুলে ১৫০ ছাত্র-ছাত্রী। গরিব এলাকা। স্কুলে পড়ান তিনজন শিক্ষক। তাঁদেরই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বিএলও-র কাজে। তাই ওঁরা চলে যাচ্ছেন ডিউটিতে। ওরা ডিউটি করলে বাচ্চাদের পড়াবে কে?”