Sandeshkhali Rural Hospital: সন্দেশখালির আর এক ‘করুণ’ ছবি, নদী পেরিয়েও ‘ভরসা’ নেই
Sandeshkhali Rural Hospital: প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০০ রোগী আসেন গ্রামীণ এই হাসপাতালে। মাত্র ৩০টি বেড রয়েছে হাসপাতালে। যা চাহিদার তুলনায় একদম কম বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, হাসপাতালে চিকিৎসক মাত্র ৩ জন। তাই নদী পার করে হাসপাতালে এলেও বেশিরভাগ সময় রেফার করে দেওয়া হয়।
সন্দেশখালি: বছরের শুরুতে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল সন্দেশখালি। বছর শেষেও রাজনৈতিক চাপানউতোরে ফের আলোচনায় উত্তর ২৪ পরগনার এই এলাকা। আর এই রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেই সন্দেশখালির চিকিৎসা পরিষেবার বেহাল দশার ছবি সামনে এসেছে। সন্দেশখালির বেশ কয়েকটি গ্রামের ভরসা একমাত্র সন্দেশখালি গ্রামীণ হাসপাতাল। সেই হাসপাতালে কেমন পরিষেবা পাওয়া যায়? কী বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা? স্বাস্থ্য আধিকারিকরাই বা কী বলছেন?
উত্তর ২৪ পরগনার খুলনা বাজারের সামনে রয়েছে গ্রামীণ এই হাসপাতাল। তুষখালি, খুলনা, মণিপুর (সন্দেশখালির একটি গ্রাম), জেলিয়াখালির মতো এলাকার মানুষের চিকিৎসা পরিষেবায় একমাত্র ভরসা। যাঁরা নদীর এপারে থাকেন, তাঁদের নদী পেরিয়ে গ্রামীণ ওই হাসপাতালে যেতে হয়।
জানা গিয়েছে, চিকিৎসা পরিষেবার জন্য প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০০ রোগী আসেন গ্রামীণ এই হাসপাতালে। মাত্র ৩০টি বেড রয়েছে হাসপাতালে। যা চাহিদার তুলনায় একদম কম বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, হাসপাতালে চিকিৎসক মাত্র ৩ জন। তাই নদী পার করে হাসপাতালে এলেও বেশিরভাগ সময় রেফার করে দেওয়া হয়।
এই খবরটিও পড়ুন
হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা রোগীর পরিজনরা বলছেন, সামান্য ডায়রিয়া হলেও বসিরহাট জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। তাঁদের প্রশ্ন, গাড়ি ভাড়া করে বসিরহাট যাওয়ার অত্যধিক খরচ কোথায় পাবেন গ্রামবাসীরা? গ্রামীণ এই হাসপাতালকে সুপার স্পেশালিটি করার দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
সবচেয়ে সমস্যায় পড়েন প্রসূতিরা। গ্রামীণ এই হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন পরিষেবা পাওয়া যায় না। এর জন্য প্রসূতিদের পাঠানো হয় বসিরহাটে। তাতে সমস্যায় পড়েন প্রসূতির পরিবার। পথের অবস্থা ভাল না হওয়ায় প্রসূতিকে বসিরহাটে নিয়ে যাওয়া যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ।
জানা গিয়েছে, গ্রামীণ এই হাসপাতালে একটাই পুরনো এক্সরে মেশিন রয়েছে। তাও এসেছে কয়েকদিন আগে। পর্যাপ্ত ওষুধের জোগান নেই বলেও অভিযোগ।
সোমবার সন্দেশখালিতে সরকারি কর্মসূচিতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি ঘোষণা করেন, সন্দেশখালি গ্রামীণ হাসপাতালের বেডের সংখ্যা বাড়িয়ে ৬০টি করা হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বেড বাড়ানোর পাশাপাশি চিকিৎসকের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রয়োজন। ল্যাব টেকনিশিয়ান দরকার। সিজারিয়ান অপারেশন পরিষেবারও দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সমস্যার কথা প্রকারান্তরে মেনে নিয়েছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক কৌশিক মণ্ডল। তিনি বলেন, “জেলা হাসপাতাল থেকে একটি এক্সরে মেশিন দিয়েছে। নতুন এক্সরে মেশিন খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, এখানে ৩০ বেড থেকে ৬০ বেড করা হবে। ওটির ব্যবস্থা হবে। সিজারিয়ান সেকশন করতে গেলে আরও নিয়োগ হবে। আশা করি, সব কিছু হলে সন্দেশখালিবাসী উপকৃত হবেন।” তবে রেফারের অভিযোগ খারিজ করে তাঁর বক্তব্য, “খুব জটিল রোগ ছাড়া খুব একটা রেফার করা হয় না।”