Trafficking of Minors: ‘দিদি’ ঠেলেছিল আঁধার পথে, বাবার মোবাইল বাঁচিয়ে দিল অশোকনগরের তিন স্কুল ছাত্রীকে
Trafficking of Minors: তিন নাবালিকার মধ্যে একজনের সঙ্গে ছিল তার বাবার মোবাইল। তাতেই তাদের খোঁজার কাজটা আরও সহজ হয়ে যায় পুলিশের কাছে। লোকেশন ট্র্যাক করে দেখা যায় লাস্ট লোকেশন দেখাচ্ছে কলকাতার হরিদেবপুর থানা এলাকার ঠাকুরপুকুর এলাকায়।

অশোকনগর: বাবার ফোনই শেষ পর্যন্ত বাঁচিয়ে দিল ওদের। আঁধার পথে পা রাখার আগেই উদ্ধার করল পুলিশ। পাচারের আগেই লোকেশন ট্র্যাক করে পৌঁছে গেল পুলিশের টিম। তবে পুলিশ যখন এল তখন আর বাড়িতে নেই বাড়ির মালিক। এলাকায় খোঁজখবর শুরু করলেও আর তার দেখা মেলেনি। তবে রুদ্ধশ্বাস এই অভিযানের হাত ধরেই ৩ নাবালিকাকে পাচারের ছক ভেস্ত দিল অশোকনগর থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হল সপ্তম শ্রেণির তিন ছাত্রীকে। প্রত্যেকেরই বয়স ১৩। তিনজনেই বাড়ি অশোকনগর থানার গুমা এলাকায়।
সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত গুমাতেই। ওই এলাকারই এক যুবতীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তিনজনের। ডাকতও দিদি বলে। সেই দিদিই তাদের কলকাতায় পাচারের ছক কষেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার থেকেই খোঁজ মিলছিল না তিন নাবালিকার। এলাকার পাশাপাশি আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজখবর নিয়েও মেলেনি দেখা। শেষে পরিবারের পক্ষ থেকে অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যরা। একযোগে তিন নাবালিকার নিখোঁজের খবর নড়েচড়ে বসে পুলিশ। শুরু হয় তল্লাশি।
এদিকে তিন নাবালিকার মধ্যে একজনের সঙ্গে ছিল তার বাবার মোবাইল। তাতেই তাদের খোঁজার কাজটা আরও সহজ হয়ে যায় পুলিশের কাছে। লোকেশন ট্র্যাক করে দেখা যায় লাস্ট লোকেশন দেখাচ্ছে কলকাতার হরিদেবপুর থানা এলাকার ঠাকুরপুকুর এলাকায়। এটা দেখা মাত্রই অশোকনগর থানার একটি দল রওনা দেয় কলকাতার উদ্দেশে। সেখানে যে বাড়িতে তাদের রাখা হয়েছিল সেখানে হানা দিতেই দেখা যায় বাড়ির মালিক পলাতক। কিন্তু, খোঁজ মেলে তিন নাবালিকার। পুলিশ সূত্রে খবর, নাচের দলে কাজে লাগানোর জন্যই তিন নাবালিকাকে নিয়ে গিয়েছিল পাড়ার ওই দিদি। তাঁরও খোঁজ চলছে।
