Coromandel Express: করমণ্ডলে মেয়েকে তুলে নিশ্চিন্ত মনে বাড়ি ফিরেছিলেন সুদীপবাবু, সন্ধ্যায় ফোনটা আসতেই সব ওলট-পালট

Ananta Chattopadhyay | Edited By: জয়দীপ দাস

Jun 04, 2023 | 2:01 PM

Coromandel Express: অভিশপ্ত করমণ্ডলে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন ইছাপুরের সহেলী, সন্ধ্যায় ফোনটা এল বাবার কাছে। খবরটা শুনে যেন নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না সুদীপবাবু।

Coromandel Express: করমণ্ডলে মেয়েকে তুলে নিশ্চিন্ত মনে বাড়ি ফিরেছিলেন সুদীপবাবু, সন্ধ্যায় ফোনটা আসতেই সব ওলট-পালট
সুদীপ দত্ত

Follow Us

ইছাপুর: মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০০ ছুঁইছুঁই। আহত ৯০০-র বেশি। এখনও বাহানাগা স্টেশনের কাছে দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে রয়েছে অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express Accident) বগিগুলি। এক দুর্ঘটনাতেই গোটা বালেশ্বর হয়ে উঠেছে সাক্ষাৎ মৃত্যুপুরী। চারদিকে শুধুই স্বজনহারাদের কান্নার রোল। এখনও খোঁজ নেই কত মানুষের। কত মানুষ এ যাত্রায় বেঁচে গেলেও শরীরে রয়ে গেল দুর্ঘটনার দগদগে ক্ষত। এই অভিশপ্ত ট্রেনেই ছিলেন ইছাপুরের সহেলী দত্ত। ছেলেকে বেঙ্গালুরুতে শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, কে জানত রাস্তাতেই অপেক্ষা করছে বড় বিপদ।

মেয়েকে ছাড়তে হাওড়া স্টেশনে এসেছিলেন বাবা সুদীপ দত্ত। হাসিমুখে বিদায়ও জানান। সময়েই ছিল ট্রেন। মেয়েকে ট্রেনে তুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত মনে বাড়ি ফিরে এসে একটু বিশ্রাম নেন। তখনই আচমকা আসে খবর। অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে সহেলীর। শোনার পর যেন নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না সুদীপ বাবু। খুলে বসেন টিভি। ঘটনা যে সত্যি, তা বুঝতে পারেন মুহূর্তেই। এরপর আর কালবিলম্ব না করে সোজা চলে যান বালেশ্বর। তবে এ যাত্রায় রক্ষা পেয়ে গিয়েছেন সহেলী দেবী। ভাল আছেন তিনি ও তাঁর ছেলে। 

দেশের এই কঠিন সময়ে দাঁড়িয়ে, এত প্রাণহানির খবরের মাঝেও যেন খানিক খুশির হাওয়া দত্ত পরিবারে।  মেয়ে আর নাতিকে ফিরে পেয়ে আনন্দাশ্রু সুদীপবাবুর চোখের কোণে। সুদীপ বাবু তো বলছেন এ তাঁর আগের জন্মের ভাল কাজের ফল। তাই আজ কিছু হয়নি তাঁর মেয়ে, নাতির। যেন পুনর্জন্ম হয়েছে ওদের। এদিকে ঘটনার পর থেকে প্রায় ২ দিন কেটে গেলেও এখনও সেই বিভীষিকাময় সময়ের কথা ভুলতে পারছেন না সহেলী দেবী। দুর্ঘটনার সময়ের কথা ভেবে বারবার আঁতকে উঠছেন তিনি। আসতে চাইছেন না ক্যামেরার সামনে। তবে মা-বাবার কাছে যে আবার ফিরতে পারবেন তা যেন সেই সময় আর ভাবতেই পারছিলেন না তিনি।

Next Article