সন্দেশখালি: ভোটবঙ্গে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সন্দেশখালি। সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ গ্রামের মহিলাদের। ধর্ষণের অভিযোগ উড়িয়ে আরও এক নির্যাতিতার বয়ান বদলের অভিযোগ! পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি সন্দেশখালির মহিলাদের। জোর করে নির্যাতিতা মহিলাদের বয়ান বদলের অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ, সন্দেশখালির স্থানীয় তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক নির্যাতিতাদের টাকা দিয়ে চাপ তৈরি করে বয়ান বদল করছেন। প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে সন্দেশখালির বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনেছে তৃণমূল। আর তা নিয়েই হইচই। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল ফেক ভিডিয়ো বানিয়ে নির্যাতিতাদের বয়ান বদল করছে। দিলীপ মল্লিক নামে এক তৃণমূল কর্মী প্রভাবিত করে নির্যাতিতাদের বয়ান বদল করছেন বলে অভিযোগ তোলেন প্রতিবাদীরা।
এরই প্রতিবাদে প্রথমে মহিলারা সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। এরপর সেখান থেকে একটি দল বেরিয়ে গিয়ে এক তৃণমূল নেতৃত্বের বাড়িতে চড়াও হয়। পরে জানা যায়, ওই বাড়িটি তৃণমূল নেতা নারায়ণ বিশ্বাসের। নারায়ণ বিশ্বাসের বাড়ির পিছনের রাস্তা দিয়ে দিলীপ মল্লিকের বাড়ি। সেখানে বিকালের রাজবাড়ি বাজারের মিটিংয়ের আগে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। ছিলেন দিলীপ মল্লিকও। সেই খবর পেয়ে নারায়ণ বিশ্বাসের বাড়ির পাশ দিয়ে ধেয়ে যান থানার সামনে বিক্ষোভরত বিজেপি মহিলা কর্মী সমর্থকরা।
নারায়ণ বিশ্বাসের বাড়ির সামনে গেটের মুখে রীতিমতো ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন প্রতিবাদীরা। তাতান নামে এক তৃণমূল যুব কর্মীর ওপর চড়ান হন মহিলারা। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ।
বিধায়ক সুকুমার মাহাতোকেও ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে বিধায়ক নিজের মোবাইল বার করে একটি ফোন করতে যাচ্ছিলেন। দেখা যায়, সে সময়ে বিধায়কের ফোনও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলে। অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে রেখা পাত্র সন্দেশখালিতে নতুন করে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছে। বিধায়কের সামনেই তাতান নামে এক তৃণমূল কর্মীকে টেনে এনে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন মহিলারা। বিধায়ক বলেন, “মানুষ ক্ষিপ্ত হয়েছেন। মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছে। বুঝাতে হবে।”
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে। পুলিশের সঙ্গেও শুরু হয় ধস্তাধস্তি।