আমডাঙা: প্রথমে জয়নগর, তারপর আমডাঙা। অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানে বাংলার দুই প্রান্তে দুই তৃণমূল নেতা খুন। আমডাঙায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান খুনের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। এমন অবস্থায় এবার এলাকার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমানের নিরাপত্তা আরও বাড়াল রাজ্য সরকার। এতদিন আমডাঙার বিধায়ক রফিকুরের নিরাপত্তার জন্য সর্বক্ষণ রাজ্য পুলিশের দু’জন কনস্টেবল সঙ্গে থাকতেন। এবার তা বাড়িয়ে তিন জন কনস্টেবল করা হল। এবার থেকে আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমানের সঙ্গে সবসময় ঘুরবেন রাজ্য পুলিশের তিন জন কনস্টেবল। অশান্তির আবহে বিধায়কের নিরাপত্তার গুরু দায়িত্ব থাকছে তাঁদের কাঁধে।
উল্লেখ্য, আমডাঙার পঞ্চায়েত প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডলকে বোমা মেরে খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে আনোয়ার হোসেন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে। ধৃতকে জেরা করে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। উঠে আসছে কামদেবপুর হাটের যোগ। পঞ্চায়েত প্রধানের উপর হামলার দিন ওই হাটেই আততায়ীরা ক্রেতা সেজে লুকিয়ে ছিল বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে বোমার আঘাতে রূপচাঁদ মণ্ডলের মৃত্যুর পর থেকেই কার্যত থমথমে হয়ে রয়েছে আমডাঙা ও সংলগ্ন এলাকাগুলি। ঘটনার পরের দিনও চাষের জমি থেকে উদ্ধার হয়েছে বোমা। আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছেন এলাকাবাসীরা। স্থানীয় মানুষজনের চোখেমুখে এক অজানা আতঙ্কের ছাপ। নতুন করে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা বা কোনও অশান্তি এড়াতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। এসবের মধ্যেই এবার নিরাপত্তা বাড়ল স্থানীয় বিধায়কের। আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমানের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য তিনজন পুলিশ কনস্টেবলের ব্যবস্থা করা হল। আগে ছিলেন দু’জন কনস্টেবল।