হরিণঘাটা: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্র এসে বলেছিলেন ঠাকুরবাড়ি থেকে যে মতুয়া কার্ড দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নির্ভয়ে ঘুরতে পারবেন মতুয়ারা। যদিও সেই দাবি খন্ডন করেছিলেন হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। এবার তাঁর মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, “উনি সিস্টেম জানেন না। বাইরে হা হু করে লাভ নেই। একটা প্রোটোকল আছে। পার্টির ভিতরে আলোচনা করতে হবে।”
এর পাশাপাশি সিএএ নিয়েও খোলসা করেন শান্তনু। বলেন, “সিএএ নিয়ে সময় সীমা তৈরি করা হয়েছে। মার্চের ৩০ তারিখ মধ্যে রুল ফ্রেম তৈরি হবে। তারপর এটি বাস্তবায়িত করা হবে। সেটার উপরে পাকাপোক্তভাবে সিলমোহর দেওয়ার জন্য গৃহমন্ত্রী এসে বলে গিয়েছেন। সময় সীমাও দিয়ে গিয়েছেন।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন, এটা তাদের দফতর। তাই তাঁরাই পরিষ্কারভাবে সবটা বলতে পারবেন। সিএএ যে হবে সেই বিষয়ে একপ্রকার আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠেই মন্ত্রী জানিয়েছেন, সংবিধান যখন হয়েছে। তখন সিএএ হবে এই নিয়ে হতাশার কিছুই নেই।”
নাগরিকত্ব না পেয়ে মতুয়াদের হাতাশা প্রশঙ্গে, শান্তনু ঠাকুর জানান, “গত ৭০ বছর মানুষ আক্ষেপ করেছেন নাগরিকত্ব পায়নি। ফলে কোনও দিনই মতুয়ারা স্বাভাবিকভাবে ছিলেন না,হতাশ ছিলেন। এখন মতুয়ারা আনন্দিত কারণ CAA এখন ভারতের আইন,শুধু লাগু হতে বাকি। আইন যখন হয়েছে লগু হবে এটা নিয়ে নিরাশার কিছু নেই। মন্ত্রীরা যে ভাবে কথা দিচ্ছেন, ভরসা দিচ্ছে তাতে আমরা সকলেই আশাবাদী এটা লাগু হবে এবং মানুষ উপকৃত হবে।”