‘জন বার্লার মন্তব্য ওঁর ব্যক্তিগত, সিদ্ধান্ত উত্তরবঙ্গের মানুষই নেবে’, ‘সাবধানী’ মন্তব্য শান্তনুর

Shantanu Thakur: উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের সময় মতুয়া ভোটের লক্ষ্যে বিজেপির তরফে জানানে হয়েছিল বিজেপি সরকার এলেই রাজ্যে এনআরসি(NRC) ও সিএএ (CAA) চালু হবে। সেই প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা সুর চড়িয়েছিল তৃণমূল

'জন বার্লার মন্তব্য ওঁর ব্যক্তিগত, সিদ্ধান্ত উত্তরবঙ্গের মানুষই নেবে', 'সাবধানী' মন্তব্য শান্তনুর
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 25, 2021 | 8:30 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকে বিজেপির জেলা সাংগঠনিক দলীয় বৈঠকে বিশেষ দেখা যায়নি তাঁকে। অনুপস্থিত ছিলেন একাধিক কর্মসূচিতেও। তিনি বনগাঁর বিজেপি বিধায়ক শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। শুক্রবার, বারাসাতে একটি রক্তদান শিবিরে এসে একাধিক বিষয়ে মুখ খুললেন বিধায়ক।

সম্প্রতি, বিজেপি সাংসদ জন বার্লা দাবি করেছেন উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হোক। সে প্রসঙ্গে শান্তনু (Shantanu Thakur) এদিন বলেন, “জন বার্লা যা বলেছেন তা ওঁর ব্যক্তিগত মতামত। তবে উত্তরবঙ্গের মানুষের যদি মনে হয় তাঁরা সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তবে কী পদক্ষেপ করলে ভাল হবে সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সেখানকার মানুষই। এ বিষয়ে কারোর কিছু বলার নেই।”

উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের সময় মতুয়া ভোটের লক্ষ্যে বিজেপির তরফে জানানে হয়েছিল বিজেপি সরকার এলেই রাজ্যে এনআরসি(NRC) ও সিএএ (CAA) চালু হবে। সেই প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা সুর চড়িয়েছিল তৃণমূল। নাগরিকত্ব ইস্যুতে পরবর্তীতে বিজেপির সুর বদলেছিল। সিএএ চালু নিয়ে কার্যত অনিশ্চয়তাই স্পষ্ট হয় বিজেপিতে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, পাহাড়ে প্রচারে খোদ অমিত শাহ জানান, ভোট মিটলেও সিএএ চালু হবে না। ফলে, সিএএ চালু নিয়ে এই ধোঁয়াশা ভালভাবে দেখেনি মতুয়ারা। খানিকটা ‘বেসুর’ বাজছিলেন শান্তনুও।

উত্তরবঙ্গ প্রসঙ্গে শান্তনুর এই ‘সতর্ক’ মন্তব্য নজর এড়ায়নি রাজনৈতিক মহলের। বিশ্লেষকদের দাবি, ‘উত্তরবঙ্গের মানুষই সিদ্ধান্ত নেবেন’, এই কথার মধ্যে কার্যত বার্লাকে প্রচ্ছন্ন সমর্থনই করছেন শান্তনু। শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলে সিএএ ইস্যু আরও জোরদার করা যেতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদিও, বিজেপির তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে অখণ্ড বাংলারই দাবিদার পদ্মশিবির। সেক্ষেত্রে, দলের নির্দেশই মানতে হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

পাশাপাশি, এদিন ভ্যাকসিন দুর্নীতি নিয়েও মুখ খোলেন বিজেপি বিধায়ক। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি (Shantanu Thakur) বলেন, “কেন্দ্র সরকার যা করবে, তাতেই জোচ্চুরি চলবে। এ নিয়ে তো নতুন কিছু বলার নেই। আমরা শুনছি, ভ্যাকসিন নাকি হাসপাতাল থেকে এনে দোকানেও বিক্রি করা হচ্ছে। টিকাপ্রদানেও স্বজনপোষণ চলছে। তৃণমূল সরকারের এটাই ধর্ম।”

উল্লেখ্য, কসবায় ভুয়ো টিকাপ্রদানকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে রাজ্য-রাজ্যনীতি। খোদ, যাদবপুরের অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চট্টোপাধ্যায় ভুয়ো টিকাকরণের সম্মুখীন হয়েছেন। কোভিশিল্ডের বদলে পেয়েছেন অ্যামিক্যাসিন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। ভ্যাকসিনকাণ্ডে সরকারকে চাপে ফেলতে শুক্রবারই স্বাস্থ্যভবনে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি নেতা হিরণ চট্টোপাধ্য়ায় ও বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্ডা। যদিও, কলকাতা পুরকলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য, স্বাস্থ্যবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, সাংসদের থেকে খবর যেতেই পুরসভা পদক্ষেপ করেছে।  যাঁরা ওই কেন্দ্রে টিকা নিয়েছেন তাঁদের সকলের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন অতীন ঘোষ।

আরও পড়ুন: ধোপে টিকল না মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গে পৌঁছল ৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির দল