Jawan Death: সার্ভিস রাইফেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের জওয়ানের, শোকের ছায়া খড়দহে

Tripura State Rifles: মৃত জওয়ানের পরিবারের দাবি, এদিন ফোন করে তাঁদের জানানো হয়েছে, গতরাতে নিজের সার্ভিস বন্দুক থেকে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। খড়দহের বাড়িতে সেই খবর আসার পর থেকেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।

Jawan Death: সার্ভিস রাইফেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের জওয়ানের, শোকের ছায়া খড়দহে
জওয়ানের মৃত্যু

| Edited By: Soumya Saha

Jun 05, 2023 | 9:19 PM

খড়দহ: ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসে কর্মরত ছিলেন শরৎ সিংহ। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে। কিছুদিন আগেও স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছিল। বলেছিলেন, বাড়িতে ফিরবেন। কিন্তু আর ফেরা হল না। গতরাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের ওই জওয়ানের (Jawan Death)। মৃত জওয়ানের পরিবারের দাবি, এদিন ফোন করে তাঁদের জানানো হয়েছে, গতরাতে নিজের সার্ভিস বন্দুক থেকে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। খড়দহের বাড়িতে সেই খবর আসার পর থেকেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। পরিবারের দাবি, একটি সুইসাইড নোটও নাকি পাওয়া গিয়েছে সেখান থেকে।

জানা যাচ্ছে, শরৎ সিংহ নামে ওই জওয়ান উত্তর ত্রিপুরা জেলার কাঞ্চনপুর দাসপাড়া এলাকায় ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের হেড কোয়ার্টারে কর্মরত ছিলেন। গতরাতে কর্তব্যরত অবস্থাতেই এই কাণ্ড করে বসেন তিনি। যদিও কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, কেন তিনি হঠাৎ গুলিবিদ্ধ হলেন, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গোটা ঘটনা নিয়ে এখনও মুখ খুলতে চাইছেন না ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের পদস্থ অফিসাররা। দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত, তাঁরা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে।

জানা যাচ্ছে, ওই জওয়ান ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের ১৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নে কর্মরত ছিলেন। গতকাল রাতে ডিউটিতে থাকাকালীন রাত প্রায় ১১ টা ৫০ মিনিট নাগাদ এই গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটে বলে জানা যাচ্ছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত শরৎ সিংহের দেহ সোমবার ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বোঝা যাবে। এদিকে জওয়ানের খড়দহের বাড়িতে সেই খবর আসার পরই শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। অঝোরে কেঁদে চলেছেন তাঁর স্ত্রী। শরৎবাবুর স্ত্রী জানাচ্ছেন, শেষবার যখন কথা হয়েছিল তখনও সব ঠিকঠাক ছিল। বাড়িতে ফেরার বিষয়েও কথা হয়েছিল স্ত্রীর সঙ্গে। কিন্তু এরই মধ্যে এই অঘটন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের লোকেরা।