পানিহাটি: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পদত্যাগ করেছিলেন মলয় রায়। এবার পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হলেন সোমনাথ দে। শুক্রবার ‘সর্বসম্মতি’-তে তিনি নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন হলেন। তবে এদিন নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের সময় দেখা গেল না সদ্য প্রাক্তন চেয়ারম্যান মলয় রায়কে। তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও নতুন চেয়ারম্যানের দাবি, অসুস্থতার জন্য মলয় রায় উপস্থিত থাকতে পারেননি।
পানিহাটির বিধায়ক তথা বিধানসভা শাসকদলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষকে পানিহাটির চেয়ারম্যান নির্বাচনের বিষয়টি দেখভালের নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নির্মল ঘোষের তত্ত্বাবধানেই পানিহাটির নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন হল। পানিহাটি পুরসভার ৩৫ জন কাউন্সিলর। এদিন ৩২ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। তার মধ্যে ২ জন কংগ্রেস ও সিপিএমের।
চেয়ারম্যান নির্বাচনে উপস্থিত ৩২ জন কাউন্সিলরই সোমনাথ দেকে সমর্থন করেন। নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোমনাথ দে বলেন, “৩৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৩২ জন এদিন উপস্থিত ছিলেন। ওই ৩২ জন কাউন্সিলর হাত তুলে সমর্থন জানিয়েছেন।” চেয়ারম্যান হিসেব নিজের প্রাথমিক লক্ষ্য জানিয়ে তিনি বলেন, “পানিহাটির মানুষকে সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়াই আমার প্রথম কাজ। পানিহাটির মানুষকে উন্নততর পরিষেবা দেওয়াই লক্ষ্য। পানিহাটিতে যে আবর্জনার সমস্যা রয়েছে, সেটার সমাধান করতে চাই।”
সদ্য প্রাক্তন চেয়ারম্যান মলয় রায় এদিন এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। সোমনাথ দে বলেন, “উনি অসুস্থ। আমি তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করব।” যে অমরাবতীর মাঠ নিয়ে বিতর্ক, তা নিয়ে নতুন চেয়ারম্যান বলেন, “অমরাবতীর মাঠ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। ওই বিষয়টি রাজ্য সরকার দেখছে।”
তিলোত্তমার দেহ দাহের ক্ষেত্রে সোমনাথ দে’র তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিলোত্তমার বাবা মা। এখন তিলোত্তমার বাবা-মা বলছেন, সোমনাথ দেকে চেয়ারম্যান করে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এই নিয়ে সোমনাথ দে কিংবা নির্মল ঘোষ কোনও মন্তব্য করতে চাইলেন না। সোমনাথ দে বলেন, “হাত জোড় করে বলছি, এইসব আলোচনায় আসবেন না। আমাদের পরিষেবা দেওয়ার কাজ, পরিষেবা দেব। যার বক্তব্য বিরোধিতা করার, তারা বিরোধিতা করবে।”