ব্যারাকপুর: ভোটের মুখে জমি দখলের জন্য প্রস্তুতি চলছে সব দলে। কিন্তু সুপ্রিমোর বার্তার পরও তৃণমূলে থামছে না ঝগড়া। শীর্ষ নেতৃত্ব ময়দানে নেমেও কিছু করতে পারেনি। বছর শেষে আবারও সাংসদ অর্জুন সিং-কে নাম না করে বার্তা দিলেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। আরও একবার হলুদ ফাইলের হুঁশিয়ারি শোনা গেল তাঁর মুখে। জানালেন, শীঘ্রই সেই ফাইল তিনি তুলে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। এক সভা থেকে ওই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, তৃণমূল কর্মী খুনের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের মুখোশ খুলে দেওয়া হবে অবিলম্বে। তবে এই সব হুঁশিয়ারিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ অর্জুন সিং।
নোয়াপাড়া থানার অন্তর্গত নোয়াপাড়া শহর তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন গোপাল মজুমদার। তাঁর মৃত্যুর ঘটনার ‘ফাইল’ আবার খোলার কথা বললেন সোমনাথ শ্যাম। তাঁর দাবি, মামলা আবারও চালু করে মূলচক্রীকে গ্রেফতার করা হোক। সভা মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, “আমার কাছে সমস্ত রেডি করা আছে, যেদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলবেন, সে দিন ফাইল তাঁদের হাতে দিয়ে দেব।”
কী আছে সেই হলুদ ফাইলে? সোমনাথ শ্যাম জানান, যত তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন, সেই সব তথ্য জোগাড় করে একটি ফাইলে রাখছেন তিনি। খুনের পিছনে কী মোটিফ ছিল, কার চক্রান্ত ছিল, তা খুঁজে বের করতে চান তিনি। সেটাই তাঁর হলুদ ফাইল। এই প্রসঙ্গে বিধায়ক নাম না করে আরও বলেন, “আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বুকে নিয়ে ঘুরছেন। সেদিন কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতাদের ওপরেই আক্রমণ করা হল?”
অর্জুন সিং-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যে ফাইলের কথা বলুক না কেন, এর উত্তর দেবে দল। উল্লেখ্য, সম্প্রতি অর্জুন-সোমনাথ তরজা প্রকাশ্যে আসে। উত্তর ২৪ পরগনায় গিয়ে নাম না করে দ্বন্দ্ব মেটানোর কথা বলেন খোদ সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তরজা মেটাতে জেলায় যান রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। কিন্তু বক্সীর সেই বৈঠকে অর্জুন গেলেও, যাননি সোমনাথ। ফলে রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপেও কোনও কাজ হয়নি, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল।