Sougata Ray: শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে ফের সৌগতের মুখে অশালীন কথা

Ananta Chattopadhyay | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 08, 2023 | 12:59 PM

Sougata Ray: বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার বরানগরে তৃণমূলের একটি দলীয় কর্মসূচি ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সৌগত রায়। সেই সভায় প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে 'চটি দিয়ে মারার' কথা বলেছেন সাংসদ।

Sougata Ray: শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে ফের সৌগতের মুখে অশালীন কথা
সৌগত রায়

Follow Us

বারাকপুর: বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করলেন শাসকদলের সাংসদ সৌগত রায়। আর তা নিয়ে শুরু রাজনৈতিক বিতর্ক। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার বরানগরে তৃণমূলের একটি দলীয় কর্মসূচি ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সৌগত রায়। সেই সভায় প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে ‘চটি দিয়ে মারার’ কথা বলেছেন সাংসদ। সৌগত রায় বলেন, “শুভেন্দু প্রথম বলেছে ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার পেছনে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত আছে। আমার যদি বয়স কম থাকত, তাহলে শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারতাম।”

দলীয় কর্মসূচির মঞ্চ থেকে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে এহেন মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন সাংসদ। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চাও। বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, “সৌগত রায়ের বয়স হয়ে গিয়েছে। ওঁকে অবসর নিতে হবে। ওঁর বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে। সিবিআই অভিযানের ফলে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই কথায় কথায় ভুলভাল বকছেন।”

তবে এই প্রথম নয়, সৌগত রায়ের মন্তব্যের এর আগেও বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিরোধীরা ‘‌চোর চোর’‌ বললে এলাকা ছাড়া করার নিদান দিয়েছিলেন তিনি। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারকে এক যোগে আক্রমণ করেছিলেন সাংসদ। দিলীপ ঘোষকে এইট পাস, ফিটার মিস্ত্রি বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। অধ্যাপক সৌগত রায় আরও বলেছিলেন, “নিজেদের নিয়ন্ত্রণ না করলে কেউ জুতোপেটা করলে দুঃখ করবেন না। কয়েকটা বাঁদর আছে বিজেপি করে। দিলীপ ঘোষ অশিক্ষিত ছিলেন। ক্লাস এইট পাশ। ফিটার মিস্ত্রি।” তার আগেও কামারহাটিতে সমালোচকদের ‘গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি’ করার কথা বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী যখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন, তখন শেষবারের সঙ্গে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন সৌগতই। তারপর দলবদলে যে সম্পর্কের মান নিম্নমুখী হয়েছে, তা বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাই।

Next Article