
উত্তর ২৪ পরগনা: এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। বাড়ি থেকে পড়াশোনার চাপ দিচ্ছে। এদিকে মেয়ে মন দিয়েছে প্রেমে। বেশ কয়েক বছর ধরেই লুকিয়ে প্রেম চলছে। ঠিক করে নিয়েছিল, মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার আগেই বিয়ে সেরে নেবে। সেই মোতাবেক প্ল্যানও হয়ে গিয়েছিল প্রেমিকের সঙ্গে। ফোনে কথাবার্তা সারা। ঠিক হয়ে যায় দিন। সেই দিনেই লুকিয়ে ব্যাগে জামাকাপড় ভরে পালিয়ে যায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ফোনের পর ফোন। কিন্তু প্রেমিক জানিয়ে দেয় ‘আসবে না সে…’। বাধ্য হয়েই বাড়ি ফিরে আসে সে। তারপরই চরম সিদ্ধান্ত। বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সুযোগে ফাঁকা ঘরে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মর্মান্তিক ঘটনা স্বরূপনগরের বাঁকড়ার গোকুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাকড়া এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ষোলোর ওই নাবালিকার এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে আটুরিয়ার যুবক সুমন দাসের সঙ্গে তার প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। রবিবার রাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে দুজনের বিয়ে করার কথা ছিল। সেই মতো ওই নাবালিকা ব্যাগপত্র গুছিয়ে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সুমন দাসকে ফোন করে। খনই সুমন দাস তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে।
সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসে ওই নাবালিকা। কেউ বাড়িতে না থাকার সুবাদে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে ওই নাবালিকাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় স্বরূপনগর থানার পুলিশ। উদ্ধার করে ওই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দেহ বসিরহাট মর্গে পাঠানো হয় |অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ।