বনগাঁ: বিজেপির উপপ্রধানকে পাশের চেয়ারে না বসতে দিয়ে অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের প্রধান। অভিযোগ বিজেপির। এমনকি অভিযোগ, পঞ্চায়েতের প্যাডে প্রধানের নাম থাকলেও নেই উপপ্রধানের নাম। বিডিওকে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ব্লকের দিঘারি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৬টি আসনের মধ্যে ১১টি আসন জিতে তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। প্রধান হন সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধান তৃণমূলের হলেও আসন সংরক্ষণের কারণে ৫ আসন জিতে উপপ্রধান হন বিজেপির সাধনা মুন্দারী ।
বিজেপির বক্তব্য, এতদিন পর্যন্ত পঞ্চায়েত দফতরে প্রধানের পাশের আসনে বসতেন উপপ্রধান। কিন্তু এবার উপপ্রধানকে বসানোর জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবং আরও অভিযোগ, পঞ্চায়েতের প্যাডে প্রধানের নাম থাকলেও নেই উপপ্রধানের নাম । এই বিষয়ে বনগাঁ বিডিওর কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। কেন প্রধানের পাশের আসনে উপপ্রধানের বসার ব্যবস্থা করা হয়নি এবং পঞ্চায়েতের প্যাডে কেন উপ প্রধানের নাম নেই, তা নিয়ে সোচ্চার হয়েছে উপপ্রধান নিজেই।
এই বিষয়ে দিঘারী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অনেক পঞ্চায়েতের প্যাডে শুধু প্রধানের নাম থাকে সেক্ষেত্রে যদি আইনত কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হবে । অনেক পঞ্চায়েতেই প্রধান উপ প্রধানের জায়গা আলাদা । এক জায়গায় বসে অনেক দলীয় ব্যক্তিগত কথাবার্তা থাকতে পারে, সেগুলো বলা সম্ভব নয়। সেটা ওঁর ক্ষেত্রেও সমস্যা আমার ক্ষেত্রেও সমস্যা ।” তাঁর বক্তব্য, “যদি বিডিও সাহেবের কাছে অভিযোগ করে, বিডিও সাহেব জানতে চাইলে আমি উত্তর দেব।”
যদিও এই বিষয়ে উপ প্রধান বক্তব্য দিতে না চাইলেও সোচ্চার হয়েছেন বনগাঁ জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল । তিনি বলেন, “প্রধানের পাশের আসনে কেন উপপ্রধানকে বসতে দেবে? বিজেপির উপপ্রধান পাশে বসলে তৃণমূলের সমস্ত চুরির কাহিনি জেনে যাবে যে! সেই কারণেই উপপ্রধানকে অন্যত্র বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
এই বিষয়ে বনগাঁর বিডিও অর্ঘ্য দত্ত বলেন, “দীঘারি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আমাকে এই বিষয়ে একটি মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন । আমি পঞ্চায়েতে সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন ঘর মেরামতির কারণে এটা হয়েছে। আমাদের কথা চলছে আগামীতে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”