
বারাসত: পুজোর সময়ও চাকরির দাবিতে উত্তাল এলাকা। যশোর রোডে বিক্ষোভ দেখালেন ২০২২-এর টেট উত্তীর্ণরা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সেখানে যাচ্ছেন, সেই খবর পেতেই রাস্তায় বিক্ষোভ দেখান। এরপর সাংসদ সৌগত রায়ের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান। এমনকী, বিধায়ক নির্মল ঘোষেরও গাড়ি আটকে চলল বিক্ষোভ।
এ দিকে, চাকরিপ্রার্থীরা প্রবল বিক্ষোভ দেখাতেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। তাঁদের সঙ্গে চলে পুলিশের ধস্তাধস্তি। অভিযোগ, চাকরিপ্রার্থীদের সরাতে বলপ্রয়োগ পুলিশের। অসুস্থও হয়ে পড়েন কয়েকজন। তবে সৌগত রায় ও বিধায়ক নির্মল আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভে আটকে পড়েন। অনুষ্ঠানে কার্যত ঢুকতে পারেনি তাঁরা। পরে পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দেন।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশ লাঠিপেটা করেছে তাঁদের। বেশ কয়েকজনের আঘাতও লেগেছে। শুধু তাই নয়, এক প্রতিবন্ধী শিক্ষকও বাদ যায়নি। তাঁকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক বিক্ষোভকারী বলেন, “যেভাবে পেরেছে আমাদের মেরেছে। আমাদের অনেক কর্মীকে আটকে দিয়েছে।” তবে পুলিশের বক্তব্য, “আমরা বলেছি কেউ অ্যাভেলেভেল নেই। তাও বলি কয়েকজন এখানে আসুন দেখুন যদি কথা বলেন কেউ। তবে ওদের কয়েকজন চুপচাপ বসে থাকলেও, কয়েকজন আবার বিশেষ ব্যক্তির গাড়ি আটকে তাঁর সামনে হুলিগানিজম করছে। পুলিশ বারবার বলেছে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করুন।”
অপরদিকে নির্মল ঘোষ বলেন, “এরা আন্দোলন করতেই পারে। আন্দোলনের যা নিয়ম আছে করুক। ওরা যা পারে করুক। এদের বিরুদ্ধে আমার কোনও বক্তব্য নেই। আমায় যদি আটকেও রাখে আমি এখানে বসেই থাকব। তবু এদের বিরুদ্ধে কিছু বলব না।” উল্লেখ্য, ২৬ হাজারের চাকরি বাতিল মামলায় দাগিদের তালিকা প্রকাশ করেছিল SSC। সেই তালিকায় নাম ছিল এই নির্মলের পুত্রবধূর।