SIR in Bengal: ‘গাছে বেঁধে রাখুন…’, আঙুল উঁচিয়ে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে বলে এলেন কাউন্সিলর অঞ্জন

Baranagar: ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে দাবি বিরোধীদের। বিজেপির উত্তর শহরতলীর সভাপতি চণ্ডীচরন রায় বলেন, "ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছেন কাউন্সিলর অঞ্জন পাল। বিজেপিকে ভয় দেখাচ্ছে। হেরে যাবে বলে অহেতুক আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানাচ্ছি।"

SIR in Bengal: গাছে বেঁধে রাখুন..., আঙুল উঁচিয়ে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে বলে এলেন কাউন্সিলর অঞ্জন
অঞ্জন পালের বার্তাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 03, 2025 | 2:02 PM

বরানগর: বিজেপি কর্মীরা এলেই গাছে বেঁধে রাখুন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এমনই বার্তা দিয়ে আসছেন খোদ কাউন্সিলর। বরানগর পুরসভার কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাকি বিজেপি কর্মীদের ঘরে আটকে রাখার কথাও বলছেন তিনি! বিজেপির অভিযোগ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি। সিপিএম নেতা মানস মুখোপাধ্যায়ও তৃণমূলের সমালোচনা করেছেন। তাঁর দাবি, হেরে যাবে বলে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল।

এলাকায় দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত অঞ্জন পাল। সোমবার সকালে দেখা গেল, লিফলেট হাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন তিনি। এসআইআর কী, সে কথা বোঝাচ্ছেন সবাইকে। সেই সঙ্গে বলছেন, “সারা বাংলা জুড়ে এসআইআরের নামে ভোটারদের নাম কেটে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যদি কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ যায়, আমরা ছেড়ে দেব না। ২০০২-এর তালিকা তোমরা এসে দেখে নেবে। যদি বৈধ ভোটারের নাম বাদ যায়, তারপর কোনও বিজেপি কর্মী এলে একদম গাছে বেঁধে রেখে দেবে, এই জায়গায় কোনও কম্প্রোমাইজ নয়।” রীতিমতো আঙুল উঁচিয়ে এ কথা বলতে দেখা গেল অঞ্জন পালকে।

ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে দাবি বিরোধীদের। বিজেপির উত্তর শহরতলীর সভাপতি চণ্ডীচরন রায় বলেন, “ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছেন কাউন্সিলর অঞ্জন পাল। বিজেপিকে ভয় দেখাচ্ছে। হেরে যাবে বলে অহেতুক আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানাচ্ছি।” এদিকে, অঞ্জন পালের সাফ জবাব তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই কাজ করছেন। গাছে বেঁধে রাখার কথায় কোনও অন্যায় দেখছেন না তিনি। দলগত স্বার্থকে সুরক্ষিত রাখার কথাও বলেছেন তিনি।

সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ মানস মুখোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল হেরে যাবে বলে এইসব করছে। এই করে তৃণমূল রাস্ট্রপতি শাসন জারি করিয়ে দেবে। তবে এর আগেও এসআইআর হয়েছে। এখন টেকনলোজি অনেক এগিয়ে গিয়েছে। তবে বৈধ ভোটার বাদ যাবে কেন? আমরাও চাই অবৈধ ভোটার বাদ যাক।”