কামারহাটি: কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা হতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। রাজ্যের শাসক দল ও কমিশনকে খোঁচা দিতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তবে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক ‘কালারফুল’ মদন মিত্র (Madan Mitra) বলছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তিনি খুশি। তাঁর ব্যাখ্যা, যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া পঞ্চায়েত নির্বাচন হত, তাহলে বিরোধীদের কাছে বলার সুযোগ থাকত যে তৃণমূল ফাঁকা মাঠে গোল গিয়েছে।
তবে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়াটা পুরোটাই ‘ন্যায়সঙ্গত’ বলেই মনে করছেন তিনি। মদনের চ্যালেঞ্জ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে রেফারির বাঁশি দিয়ে দেওয়া হোক। ম্যাচ কমিশনার থাকুক নির্বাচন কমিশন। তারপরও তৃণমূলকে টলানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি মদনের। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কথা অনুকরণ করে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে মদন বললেন, ‘আমাদের পঞ্চায়েত দাও, আমরা ২০২৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার মাটি থেকে দেব।’
তৃণমূলের ‘কালারফুল বয়’ বললেন, ‘আই অ্যাম ভেরি হ্যাপি। যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট করতাম, তাহলে বলত ফাঁকা মাঠে গোল দিল, আমাদের থাকতে দিল না।’ শুধু তাই নয়, বিজেপি যদি এই ক’দিনে ৬৫ হাজার মনোনয়ন জমা দিতে না পারত, তাহলেও শাসক শিবিরের ঘাড়েই বিরোধীরা দোষ চাপাত বলে মনে করছেন কামারহাটির বিধায়ক। মনোনয়ন জমার সময়সীমা পেরিয়ে য়াওয়ার পরেও বসিরহাটে মনোনয়ন জমা করার যে সুযোগ আদালত করে দিয়েছে, তার জন্যও আদালতের কাছে কৃতজ্ঞ তিনি। বললেন, ‘আমরা আদালতের কাছে কৃতজ্ঞ, যে বিরোধীদের বলার মতো আদালত কোনও জায়গা রাখেনি।’
মদনের বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য তৃণমূল সম্পূর্ণ প্রস্তুত। বললেন, ‘উই আর রেডি। গেম ইজ় ওভার।’ ভোটের ময়দানে যা যা বাধা আসবে, সেগুলিও তৃণমূল অতিক্রম করতে পারবে বলে মনে করছেন তিনি।