আমডাঙা: রবিবার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির মন্তব্যে চড়ে রাজনৈতিক পারদ। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে আসন্ন লোকসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, হুঁশিয়ারি দেন বর্তমান সাংসদকে প্রাক্তন সাংসদ বানানোর। নওশাদের এই মন্তব্যের পর থেমে থাকেনি তৃণমূলও। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমানের দাবি, আখেরে মুসলিম ভোট কাটানোর জন্যই সেখান থেকে প্রার্থী হতে চাইছেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের এই নেতা। তার এই কাজের জন্য তিনি বিজেপি-র কাছ থেকে মাসোহারা পাচ্ছেন বলেও দাবি করেছেন তৃণমূল বিধায়ক।
আসন্ন লোকসভা ভোটে বিরোধীদের নজর যে ডায়মন্ড হারবার সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। গত শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের একটি জনসভা থেকে বিজেপি নেতা তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ডায়মন্ড হারবারে অভিষেককে হারাবো। অন্য লোককে দাঁড় করিয়ে হারাবো। বিজেপি-কে জেতাবো। আবার বলছি, ভাইপোকে হারাবো,হারাবো,হারাবো।” ঠিক এরপরের দিনই নওশাদ ওই কেন্দ্র থেকে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বলেন, “আমি ডায়মন্ড হারবারের বর্তমান সাংসদকে প্রাক্তন সাংসদ বানাবো। দল অনুমোদন দিলে আমি ডায়মন্ড হারবার থেকে লোকসভা ভোটের জন্য লড়াই করব।” এরপরই জল হয়ে ঘোলা! রাজনৈতিক মহলের কেউ কেউ বিষয়টিকে দু’য়ে-দু’য়ে চার করার চেষ্টা করার চেষ্টাও করেলেওরাজনৈতিক মহলের কেউ কেউ বিষয়টিকে দু’য়ে-দু’য়ে চার করার চেষ্টা সামনা-সামনি কেউ মুখ খোলেননি।
তবে প্রকাশ্য জনসভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ক আইএসএফ-বিজেপি-র আঁতাত নিয়ে মুখ খোলেন। স্পষ্ট বলেন, “ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় নওশাদ সিদ্দিকি প্রার্থী হলে জামানত জব্দ হবে।” অভিযোগ করে বলেন, “ওতো বিজেপির দালাল। বিজেপি-র থেকে মাসোহারা নিয়ে মুসলিম ভোট বিভাজনের চেষ্টা করছে।” তবে তৃণমূলের এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “উনি কী করবেন তা তো আমি বলতে পারি না। ওনার মনে হয়েছে উনি অভিষেককে টক্কর দেবেন। করতেই পারেন। বিজেপি তার সংগঠন, কর্মীদের নিয়ে লড়াই করবে। আমাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কে এক হবেন কে দুই হবেন তা তো আমাদের হাতে নেই। আমরা এক আছি আমরা লড়াই করব।”