‘গতকাল কথা হয়েছে বাবুলের সঙ্গে’, সৌগতের মন্তব্যে সাংসদের ‘অলভিদা’-য় জল্পনা

Babul Supriya: প্রবীণ সাংসদের এই মন্তব্যেই জল্পনা তুঙ্গে। তাহলে কি ফুল বদল করতে চলেছেন বাবুল সুপ্রিয়?

'গতকাল কথা হয়েছে বাবুলের সঙ্গে', সৌগতের মন্তব্যে সাংসদের 'অলভিদা'-য় জল্পনা
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 01, 2021 | 3:31 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) ফেসবুকে পোস্ট করে রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করার পরেই একের পর এক প্রতিক্রিয়া তির ছুড়েছেন অ-বিজেপি নেতৃত্বরা। রবিবার বাবুল সুপ্রিয়ের পদত্যাগ প্রসঙ্গে জল্পনা উস্কে দিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বললেন, “বাবুলের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। দলে কেউ যোগ দেবেন  কি না তা তৃণমূল সুপ্রিমো ঠিক করবেন।” প্রবীণ সাংসদের এই মন্তব্যেই জল্পনা তুঙ্গে। তাহলে কি ফুল বদল করতে চলেছেন বাবুল সুপ্রিয়?

রবিবার, প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “বাবুলের (Babul Supriyo) সঙ্গে গতকাল আমার কথা হয়েছে। বিধানসভার নির্বাচনে ও হেরে গিয়েছে বলে মন্ত্রিসভা থেকে ওকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাবুলের সঙ্গে যা হয়েছে তা অন্যায়। দলের ভেতরে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ওর সমস্যা ছিল। দল ওর সঙ্গে সুবিচার করেনি। ও তো রাজনীতির লোক নয়। আমরা যেমন জেতার মধ্যে দিয়ে রাজনীতি ধরে রাখি। ওর সেই স্ট্য়ামিনা নেই। তাই ও রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছে। তবে আমি ওকে বলেছিলাম রাজনীতি না ছাড়তে। আমার মনে হচ্ছে না বাবুলকে আর ধরে রাখা যাবে।” পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, “কেউ দলে যোগ দেবেন কি না  বা তাঁকে দলে নেওয়া হবে কি না তা তৃণমূল সুপ্রিমো ঠিক করবেন।” প্রবীণ সাংসদের এই মন্তব্যেই  জোর জল্পনা  রাজনৈতিক মহলে।

পাশাপাশি, বাবুলের (Babul Supriyo) ফেসবুক পোস্টেও জল্পনা ছড়িয়েছে। শনিবার বিকেলে রাজনীতি থেকে বিদায় জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন আসানসোলের সাংসদ। পোস্টে বাবুল এও লেখেন, এরপর সিপিএম তৃণমূল কোনওদলেই যোগ দিচ্ছেন না তিনি। কিন্তু, সন্ধের পর ধীরে ধীরে বদলে যায় পোস্টের ভাষা। দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেও অন্য দলে যোগ না দেওয়ার বিষয়টি উড়ে যায় বাবুলের পোস্ট থেকে।

যদিও, ঘনিষ্ঠ মহলে বাবুল জানিয়েছেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে পোস্ট থেকে যোগদানের বিষয়টি উড়ে গিয়েছে। তিনি তাঁর গানের জগতেই ফিরে যেতে চান বলেও জানিয়েছেন বাবুল।

অন্যদিকে, বাবুল সুপ্রিয়র পদত্য়াগ প্রসঙ্গে একের পর এক প্রতিক্রিয়া এসেছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, “মাঠ পছন্দ না হলে খেলা কেন ছাড়বেন? মাঠ বদলান।” অন্যদিকে, বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী শিল্পীদের স্বাধীনচিত্ততার প্রসঙ্গ তুলে ‘ফ্যাসিস্ট’ বিজেপির ‘অগণতান্ত্রিক পরিবেশ’-কেই দায়ি করেছেন। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ  বাবুলের পদত্যাগকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছেন।

অন্যদিকে, বাবুলের ইস্তফা প্রসঙ্গে,  বিজেপি রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “ফেসবুকে কে কী লিখলেন আমি দেখি না। উনি কি ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন? খোঁজ নিন।’’ সেইসঙ্গেই তাঁর সংযোজন, ‘‘কে কোথায় যাচ্ছেন, আমি তা নিয়ে আমি কেন বলব? রাজনীতিতে আসা বা ছেড়ে দেওয়া কারও ব্যক্তিগত বিষয়। আমি কিছু বলব না।’’ এরপরই রীতিমতো কটাক্ষের সুরে দিলীপ বলেন, ‘মাসির গোঁফ হলে মাসি বলব না মেসো বলব তা ঠিক করব। আগে তো মাসির গোঁফ হোক।”

‘সুরেলা’ বাবুল ‘বেসুর’ বাজতেই হাল ধরতে এগিয়ে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। শনিবার রাতেই বাবুলের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন তিনি। পদ্ম নেতা তথাগত রায় টুইট করে জানিয়েছেন, বাবুলের এই সিদ্ধান্তে তিনি দুঃখিত।

প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরই তাল কাটে বাবুলের। টালিগঞ্জে প্রার্থী হয়ে হেরে যান বাবুল। এর কয়েক মাসের ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রীর সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি তাঁর। আর তার পর থেকেই তাল কাটতে শুরু করেছে। শনিবার প্রথম পোস্টে সরাসরি রাজনীতি ছাড়ার কথা জানিয়েছেন বাবুল। তারপর থেকেই জল্পনা চরমে। যদিও বঙ্গ বিজেপির দাবি, এখনও পদত্যাগ করেননি বাবুল। আরও পড়ুন: Exclusive Manoj Jha: মমতা বড় নাম, তবে মুখের রাজনীতি চান না আরজেডি-র ‘ভাইরাল সাংসদ’ মনোজ ঝাঁ

Zika Band